বটিয়াঘাটায় আমন ধানের লোকসান মাথায় নিয়ে বোরো আবাদ শুরু

0

মো. আহসান কবির, বটিয়াঘাটা (খুলনা) ॥ খুলনার বটিয়াঘাটায় আমন ধানের লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে কৃষকরা শুরু করেছেন বোরো ধানের চাষাবাদ। আমন ধানচাষে জলাবদ্ধতা, কারেন্ট পোকা, ঘূর্ণিঝড়সহ বিভিন্ন কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এই ক্ষতির কারণে কৃষকের ব্যাপক লোকসান হওয়ায় তাদের মেরুদণ্ড ভেঙে পড়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তোরণে নতুন উদ্যমে ধারদেনা করে পুনরায় বোরো ধান চাষাবাদের প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। ইতিমধ্যে অনেকেই রোপনকাজ সম্পন্ন করেছেন।
মহানগর খুলনার পাদদেশ ঘেঁষে এবং কাজিবাছা, রূপসা, ভদ্রা, শৈলমারী, সালতা, পশুর, ঝপঝপিয়া, নালুয়া, মাঙ্গা, ময়ুর নদীসহ অসংখ্য নদী দ্বারা বেষ্টিত বটিয়াঘাটা। এ উপজেলার জলমা, বটিয়াঘাটা, গঙ্গারামপুর, সুরখালী, ভান্ডারকোট, বালিয়াডাঙ্গা ও আমিরপুর ইউনিয়নের মোট ১ শ ২৭ টি গ্রামের কৃষক বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন। আমন ধান চাষ ও উৎপাদন ব্যয়ের চেয়ে বোরো চাষে শ্রম ও ব্যয় অনেক বেশি। উপজেলার বোরো চাষিরা জানান, লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে বোরো আবাদ শুরু করেছি। যদিও জমি চাষ, রোপন, পানি সেচ, ওষুধ ব্যবহার, ধান কাটা, মাড়াই, আগাছা পরিষ্কারসহ কৃষকের অনেক খরচ হয়ে থাকে। তবে উপযুক্ত মূল্য পেলে বর্গাচাষিদেরও কিছু লাভ থাকে। অন্যথায় লোকসান গুণতে হয়। বারবার লোকসান গুণতে হলে একপর্যায়ে উৎপাদনের স্পৃহা কৃষকদের হারিয়ে যায়। জমির মালিকদের চেয়ে বর্গাচাষিদের লভ্যাংশ কম হয়। হেক্টর প্রতি গড়ে ১ শ ১৩ মণ বোরো ধান উৎপাদন হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে বটিয়াঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ’আমনের ক্ষতি পূরণ করার জন্য ৪ হাজার ৫ শ হেক্টর জমি বোরো চাষের আওতায় আনা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা সফল হলে এ উপজেলা থেকে ২০ হাজার ২ শ ৫০ মেট্রিকটন বোরো ধান উৎপাদিত হওয়ার সম্ভাবনা বয়েছে। এছাড়া কৃষকদের আমন ফসলের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমরা বিনামূল্যে সার, বীজ, নগদ অর্থ ও গ্রুপভিত্তিক নিয়মিত কৃষক-কৃষাণী প্রশিক্ষণ এবং কৃষি যন্ত্রপাতিসহ নানা প্রণোদনা কর্মসূচি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করছি। আশাকরি উপজেলার কৃষকরা এতে কাঙ্খিত সুফল পাবেন’।