এক যুগের সর্বনিম্নে নামতে পারে অস্ট্রেলিয়ার গম উৎপাদন

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ টানা তিন বছর অস্ট্রেলিয়ায় খরা বিরাজ করছে, যা ২০১৯ সালে এসে মারাত্মক আকার ধারণ করে। সম্প্রতি তা আরো ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এতে দেশটির কৃষি খাত স্মরণকালের সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে। এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে গম উৎপাদনে। ২০১৯-২০ উৎপাদন মৌসুমে দেশটিতে খাদ্যপণ্যটির উৎপাদন কমে ১২ বছরের সর্বনিম্নে নামতে পারে। দেশটির সরকারি সূত্র সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্স ও ওয়ার্ল্ডগ্রেইনডটকম।
অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অব এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রিসোর্স ইকোনমিকস অ্যান্ড সায়েন্সয়ের (এবিএআরইএস) সর্বশেষ মাসভিত্তিক প্রতিবেদনে পূর্বাভাস করা হয়েছে, চলতি মৌসুমে দেশটিতে ১ কোটি ৫১ লাখ ৭০ হাজার টন গম উৎপাদন হতে পারে, যা ২০০৮ সালের পর সর্বনিম্ন উৎপাদন।
এর আগের পূর্বাভাসে এবিএআরইএস জানিয়েছিল, এ মৌসুমে দেশটিতে মোট ১ কোটি ৫৮ লাখ ৫০ হাজার টন গম উৎপাদন হতে পারে। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে কৃষিপণ্যটির উৎপাদন পূর্বাভাস ৬ লাখ ৮০ হাজার টন কমিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। মূলত দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলজুড়ে খরা চরমে ওঠায় খাদ্যপণ্যটির উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতে পারে, যা দেশটিতে গমের সামগ্রিক উৎপাদন কমাতে প্রভাব ফেলবে।
গত বছর অস্ট্রেলিয়ায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে ১৯০২ সালের পর থেকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে যায়। যদিও চলতি মাসের শুরুর দিকে বৃষ্টিপাত হয়েছে, তবে তা কৃষকদের জন্য খুব একটা সুফল বয়ে আনেনি। কারণ তা যথাসময়ের তুলনায় অনেক দেরিতে হয়েছে। এ প্রতিকূল আবহাওয়ার জেরে দেশটিতে কমছে গমসহ অন্যান্য শস্যের উৎপাদন। এর সঙ্গে কমছে রফতানি।
শুধু গমেই না, বিশ্বের শীর্ষ ১০ শস্য রফতানিকারক দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান অন্যতম। দেশটির মোট জিডিপির একটি বড় অংশ আসে কৃষি খাত থেকে। সম্প্রতি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ গম রফতানিকারকের তালিকা থেকে পিছিয়ে কৃষিপণ্যটির আমদানিকারকে পরিণত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এতে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।