যবিপ্রবির বহিস্কৃতরা এবার কাফনের কাপড় পড়ে অনশনে, ক্যাম্পাস ত্যাগের নির্দেশ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার, ভিসির পদত্যাগ দাবিসহ ৯ দফা দাবি নিয়ে এবার কাপনের কাপড় পরে আমরণ অনশনে নেমেছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সদ্য বহিস্কৃত শিক্ষার্থী ও তাদের অনুসারীরা। শনিবার বিশ^বিদলয়ের শহীদ মিনারে এই আমরণ অনশন শুরু করেন তারা। তবে বিশ্ববিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে ক্যাম্পাসে মাইক টাঙিয়ে এ ধরনের কর্মসুচি নেওয়ায় যবিপ্রবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের সরে যাওয়ার জন্য নোটিশ টানিয়ে দেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানাগেছে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিস্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর থেকে এসব শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ জানিয়ে আসা হচ্ছে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ মিনারের সামনে তারা অনশণে বসেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তারা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বহিরাগতদের দিয়ে হামলার অভিযোগ এনে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলণে অভিযোগ করা হয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে। সংবাদ সম্মেলন থেকে তারা ৯ দফা দাবি ঘোষণা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনে কাপনের কাপড় পরে আমরণ অনশণে বসেন। এসময় ভিসির বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন তারা। এদিকে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আদেশে বলা হয়েছে, যবিপ্রবি’র কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী ও বহিরাগতরা কাস-পরীক্ষা চলাকালীন সময় মাইক বাজিয়ে একাডেমিক কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে দন্ডনীয় অপরাধ। তাই মাইক সরিয়ে নেয়ার পাশাপাশি বহিরাগতদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ত্যাগ করার জন্য নিদেশ দেয়া হচ্ছে। আন্দোলনরত বহিস্কৃত শিক্ষার্থী এসএম ইকরামুল কবির দ্বীপ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি অবমাননার মতো ঘটনা ঘটেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। ইতিমধ্যে উচ্চ আদালতে তা প্রমাণিত হয়েছে। এসব দাবি নিয়ে আমরা সোচ্চার থাকায় আমাদেরকে বহিস্কার করা হয়েছে। ভিসির পদত্যাগসহ ৯ দফা আমরা আন্দোলন করছি। প্রয়োজনে আরও কঠোর আন্দোলনে যাওয়া হবে বলে তিনি জানান।