মোদির সঙ্গে বৈঠকে ধর্মীয় স্বাধীনতার ইস্যু তুলবেন ট্রাম্প

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ধর্মীয় স্বাধীনতার ইস্যু উত্থাপন করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ২৪ ফেব্রুয়ারি তার দু’দিনের সফরে ভারত আসার কথা। এ নিয়ে শুক্রবার হোয়াইট হাউস থেকে বলা হয়েছে, ভারতের গণতান্ত্রিক ধারা ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। ভারতের সরকারি বার্তা সংস্থা পিটিআইকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি।
হোয়াইট হাউজের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, উভয় দেশের গণতান্ত্রিক ধারা ও ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয় আলোচনায় তুলে ধরবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সরকারি পর্যায়ে এবং অবশ্যই ব্যক্তিগত পর্যায়ে তিনি এই ইস্যুতে কথা বলবেন। এসব ইস্যুতে, বিশেষ করে ধর্মীয় স্বাধীনতার ইস্যু তিনি তুলে ধরবেন। কারণ, এটা হলো এই প্রশাসনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।
ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধন বিল (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জিকরণ (এনআরসি) ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনার কোনো পরিকল্পনা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আছে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন হোয়াইট হাউজের ওই কর্মকর্তা।
নাগরিকত্ব সংশোধন আইনে ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য প্রথমবারের মতো ধর্মকে ব্যবহার করা হয়েছে। এই আইনের অধীনে যদি বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ধর্মীয় নির্যাতনের কারণে ২০১৫ সালের আগে অমুসলিম নাগরিকরা ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়ে থাকেন তাহলে তাদেরকে সহায়তা করা হবে। দেয়া হবে নাগরিকত্ব। সমালোচকরা মনে করেন, এর মধ্য দিয়ে মুসলিমদের প্রতি বৈষম্য দেখানো হয়েছে এবং ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানকে লঙ্ঘন করা হয়েছে।
হোয়াইট হাউজের ওই কর্মকর্তা আরো বলেছেন, আমাদের সার্বজনীন মূল্যবোধ, আইন শৃংখলা সমুন্নত রাখার বিষয়ে অভিন্ন প্রতিশ্রুতি লালন করি আমরা। ভারতে গণতান্ত্রিক রীতি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা রয়েছে। এসব ধারাকে সমুন্নত রাখতে আমরা অব্যাহতভাবে ভারতকে উৎসাহিত করে যাবো। আপনারা যেসব ইস্যু উত্থাপন করেছেন তার কিছু নিয়ে আমরাও উদ্বিগ্ন। আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। বিশ্ব ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে যে, তারা গণতান্ত্রিক ধারা ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি শ্রদ্ধা অব্যাহত রাখে কিনা তা দেখতে। অবশ্যই ভারতের সংবিধানে ধর্মীয় স্বাধীনতা, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং সব ধর্মের প্রতি সমান আচরণ করার কথা বলা আছে। ফলে এসব বিষয় প্রেসিডেন্টের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং আমি নিশ্চিত আলোচনায় এগুলো উঠে আসবে।