ভূত নিয়ে যত কথা

0

লোকসমাজ ডেস্ক ॥ দিনের আলোয় সবই সাদা, রাত বাড়লে ভয়। পুকুর ঘাটে কিসের ছায়া, কারা কথা কয়! যুগে-যুগে কালে-কালে ভূত নিয়ে এমন অনেক আলোচনা আছে পৃথিবীতে। অধিকাংশ বিজ্ঞানী ভূতের অস্তিত্ব উড়িয়ে দিলেও প্রকৃতির রহস্যময় কিছু আচরণ মানুষকে ভূত নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে। যুক্তিবাদী বিজ্ঞানমনস্করা সব সময় সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ভূতের অস্তিত্বে। তারা বার বার বলেছেন, ভূত যে রয়েছে, তার প্রমাণ কোথায়? এর উত্তরে আবার ভূতবাদীরা পাল্টা প্রশ্ন করেছেন সে যে নেই, তার প্রমাণটাই বা কই? এই প্রমাণ খুঁজতে জেন ডাইসন নামের একজন গবেষক চলে যান ভারতের বামনি গ্রামে। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বছর দুই আগে গ্রামটির কথা তুলে ধরা হয়। হিমালয়ের ভারতীয় অংশে বনজঙ্গলে ঘেরা ছোট্ট এই গ্রাম বামনি। সমতল থেকে প্রায় নয় হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থান। দুর্গম বলে আশপাশের এলাকা থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন গ্রামটি। কৃষিকাজের অনুপযোগী। বেকারত্ব বিরাট সমস্যা। তবে এসব সমস্যা ছাপিয়ে গ্রামবাসীর বড় মাথাব্যথা ভূতের আছর। গ্রামবাসীর বিশ্বাস, বিয়ের মতো সামাজিক অনুষ্ঠান, পূজা-পার্বণের সময় পূর্বপুরুষের আত্মা কারও শরীরে ভর করে। বিয়ের আসরে কনের ওপর আছর করতে পারে সে আত্মা। জেন ডাইসন অবশ্য গ্রামটিতে কিছু অস্বাভাবিকতা দেখতে পেলেও ভূত-প্রেত সত্যিই আছে কি না, সে বিষয়ে কোনো প্রমাণ পাননি। গ্রামের রহস্যময় সব ব্যাপারকে তিনি প্রকৃতির খেলা বলেছেন। প্রকৃতির এই খেলাই মূলত মানুষকে যুগের পর যুগ আবিষ্ট করে রাখে। যাকে সাহায্য করে রাতের অন্ধকার। এ কারণে ঘনকালো অন্ধকারে সাদা কোনো কাগজ দেখলেও পথচারী কিংবা গৃহস্থ ‘ভূত’ বলে চিৎকার করে ওঠেন। এ জন্যই বলা হয়, মানুষ মূলত ভূতকে ভয় পায় না, ভয় পায় অন্ধকারকে।