হাসপাতালের ৩ গাড়ি ২০ বছর নষ্ট মেরামত বা নিলামের উদ্যোগ নেই

0

বিএম আসাদ ॥ যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে দুইটি অ্যাম্বুলেন্স ও একটি জীপ দীর্ঘ ২০ বছর ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। মেরামত বা নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। ফলে, সরকার মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে দুটি অ্যাম্বুলেন্স ও একটি জীপ বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। একশ’ শয্যা হাসপাতাল ২০০৩ সালে ২৫০ শয্যা হাসপাতালে উন্নীত হয়। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক ডা. হাসান-আল-মামুনকে ২০০৫ সালে ল্যান্ড ক্রুজার জীপ দেয়া হয়। সেটি পুরনো হওয়ায় ২০১১ সালের দিকে বিকল হয়ে পড়ে। জীপটির ঠাঁই হয় জরুরি বিভাগের সামনে। ২০০০ সালের আগে একটি ও ২০০১ সালের দিকে দেয়া হয় দু’টি অ্যাম্বুলেন্স। অ্যাম্বুলেন্স দু’টি পরে বিকল হয়ে পড়লে রাখা হয়। জরুরি বিভাগের সামনে ব্যস্ততম জায়গায় ফেলে রাখার কারণে সাধারণ মানুষের চলাফেরা ও রোগী আনা নেয়ার কাজ দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। রোদ, বৃষ্টির ভেতর খোলা আকাশের নিচে দীর্ঘ ২০ বছর পড়ে থাকায় মরিচা পড়ে তার যন্ত্রাংশও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অথচ, সরকারিভাবে এসব গাড়ি বিক্রির কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। নষ্ট হয়ে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্স ও জীপ নিলামে বিক্রি করলে সরকারের মোটা অংকের রাজস্ব আয় হতে পারে। জনস্বার্থে বিদেশী বিভিন্ন দাতা সংস্থা এসব অ্যাম্বুলেন্স ও জীপ বাংলাদেশ সরকারকে দেয়। সরকার ও অনেক গাড়ি ক্রয় করে প্রতিষ্ঠানে দেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে, বিভিন্ন দপ্তরের পুরাতন নষ্ট গাড়ি নিলামে বিক্রি করা হয়। কিন্তু হাসপাতালের জীপ অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট হলে তা নিলামে বিক্রি করা হয় না। ওই সব গাড়ি খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখা হয়। বছরের পর বছর পড়ে থাকায় নষ্ট হয়ে যায়। যে কারণে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায়ের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, এসব নষ্ট গাড়ি বিক্রি করার নিয়ম আছে। বিক্রি করার জন্যে কমিটি থাকে।। তার আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গাড়ি বিক্রি করার জন্যে কনডেমেশন সেল গঠন করে। এরপর সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর অনুমতি দিলে তা বিক্রি করা হয়। যশোর ২৫০ শয্যা হাসপতাালে যে সকল গাড়ি নষ্ট ও সচল আছে তার রিপোর্ট প্রতিমাসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কিংবা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু অনুমতি এখনো পর্যন্ত নিলামে বিক্রির অনুমতি মেলেনি।