শার্শার সীমান্ত ঘেঁষা রুদ্রপুর গ্রামের মানুষ চোরাচালান ছেড়ে ঝুঁকেছেন সবজি চাষে

0

আজিজুল ইসলাম, বাগআঁচড়া (যশোর) ॥ যশোরের শার্শা উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা রুদ্রপুর গ্রামে চোরাচালান কারবার ছেড়ে সবজি চাষে ঝুঁকেছেন অনেকে। গ্রামটি সীমান্তবর্তী হওয়ায় চোরাচালানের সাথে জড়িয়ে পড়ে গ্রামের অধিকাংশ লোকজন। তারা ভারতীয় গরু টানার কাজসহ বিভিন্ন ধরনের চোরাচালান কাজের সাথে জড়িত ছিলেন। ভারতীয় সীমান্ত রী বিএসএফের গুলি আর বিজিবি সদস্যরা রাখালদের বাড়ি থেকে ধরে ফেনসিডিল দিয়ে মামলায় ঢুকিয়ে দিত। মিথ্যা মামলায় জর্জরিত গ্রামবাসীর আনেকেই এখন তাদের চোরাচালান পেশা ছেড়ে ফিরে এসেছে সবজি চাষে। সবজি চাষ করে এখন তারা স্বাবলম্বী এবং সুস্থ জীবন যাপন করছেন। বদলে নিয়েছেন তাদের জীবন। সীমান্তের দু শ গজের ভেতরে পাটসহ কোনো উঁচু গাছ বা ফসল লাগানো নিষেধ রয়েছে বিজিবির। তাই গ্রামের লোক সীমান্তের ধার ঘেঁষে এখন পটল, উচ্ছে, বেগুন, কাঁচা মরিচসহ নানান ধরনের সবজির চাষ করছেন। তবে পটল চাষে মানুষের আগ্রহ বেশি। পটল চাষি রেজাউল জানান, তিনি ১২ কাঠা জমিতে পটল, নালার ধার ঘেঁষে পিয়াজ ও রসুন লাগিয়েছেন আর আইলের ধারে বাঁধাকপি লাগিয়েছেন। এবছর প্রথম তিনি ৯০ টাকা কেজি দরে পটল বিক্রি করেছেন। পটল চাষে তার খরচ খুব একটা বেশি হয়নি। গত বছর এই জমিতে তিনি প্রায় এক লাখ টাকার পটল বিক্রি করেছিলেন। রুদ্রপুর ক্যাম্পের পূর্বপাশ থেকে খালমুখ পর্যন্ত সীমান্ত সংলগ্ন সারা মাঠেই পটলের চাষ। ক্যাম্পের পশ্চিম পাশের সীমান্ত সংলগ্ন সব জমিতে একই কায়দায় পটলের চাষ চলছে। ফলে চোরাচালান ও গরু টানা কাজে আর কেউ যেতে চাইছেন না। তাদের জীবন কাটছে এখন সুস্থভাবে।