যে কারণে দলে দুই তরুণ, কেন নেই মাহমুদউল্লাহ?

0

লোকসমাজ ডেস্ক ॥ দেশের হয়ে ৪৯ টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবার টেস্ট দল থেকে বাদ। ‘পঞ্চ পান্ডবের’ অন্যতম সিনিয়র সদস্য রিয়াদকে বাইরে রেখে দ্রুত গতির বোলার তাসকিন আহমেদ, স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ আর কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে দলে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সঙ্গে দলে নেয়া হয়েছে দুই তরুণ ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি এবং পেসার হাসান মাহমুদকে। কেমন হলো এই দলটি? প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর দাবি, এটাই সময়ের সম্ভাব্য সেরা দল। প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘বর্তমান পরিবেশ ও প্রেক্ষাপটে আমার মনে হয়, সম্ভাব্য সেরা দলটিই নির্বাচন করেছি আমরা।’ নান্নুর দাবি দলটিতে অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেল ঘটানো হয়েছে।
এ মুহূর্তে দেশের ক্রিকেটের অন্যতম অভিজ্ঞ পারফরমার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দলে নেই। তাকে কেন রাখা হয়নি? সৌম্য সরকার কি কারণে নেই? পেসার আল আমিন হোসেনকে না রাখার কারণই বা কি? অবশ্য পরের দুটি কারণ ও ব্যাখ্যা জানা। সৌম্য সরকার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন এবং ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি ছুটিতে থাকার আবেদন করেছেন। সে আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। আর আল আমিন হোসেনের পিঠে ব্যাথা। এই দুজন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যে টেস্ট দলে থাকবেন না, সে খবর জাগো নিউজে ফলাও করেই প্রকাশিত হয়েছে। অফ ফর্মের কারণে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বিবেচনায় নাও আসতে পারেন, সে খবরও কয়েকদিন আগে প্রকাশিত হয়েছে। রোববার দল ঘোষণার সাথে সাথে সেই তিন জনের দলে না থাকার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন প্রধান নির্বাচক। তিনি স্বীকার করেছেন, ‘এটা দুঃখজনক যে, আমাদের কয়েকজন প্রায় নিয়মিত পারফরমারকে ছাড়াই দল সাজাতে হয়েছে।’ তবে নান্নু যোগ করেন, ‘সেটা দলের গঠন বিন্যাস এবং পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা আনার স্বার্থেই আমাদের সে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।’
অভিজ্ঞ-পরিণত মাহমুদউল্লাহর দলে না থাকার কারণ জানাতে গিয়ে প্রধান নির্বাচক যা বলেছেন, তার ভাবার্থ হলো, আসলে রিয়াদের টেস্ট পারফরম্যান্স প্রত্যাশিত মানে পৌঁছাচ্ছে না। তার কাছ থেকে দল যা চায়, তাও মিলছে না। তাই তাকে বাইরে রাখা। সে কথাটি ঘুরিয়ে কুটনৈতিক ভাষায় ফুটে উঠেছে তার মুখ থেকে, ‘আমরা লাল বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বিশ্রাম দিয়েছি। আমাদের মনে হয়েছে তার লাল বলে বিশ্রামের প্রয়োজন।’ আল আমিন ও রুবেল হোসেনের দলে না থাকার কারণ ব্যাখ্যা করে নান্নু বলেন, ‘আল আমিনের চোট রয়েছে। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, আমরা আল আমিনকে সীমিত ওভারের ফরম্যাটে বেশি করে চাই। তাই তাকে টেস্ট দলের বাইরে রাখা হয়েছে। যাতে সে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে সুস্থ হয়ে উঠে দলে ফিরতে পারে।’ অন্যদিকে রুবেল হোসেনকেও ঠিক টেস্ট ‘ম্যাটেরিয়্যাল’ মনে হয় না নির্বাচকদের। তাই প্রধান নির্বাচকের মুখে এমন কথা, ‘আসলে রুবেল এই মুহূর্তে আমাদের লাল বলের পরিকল্পনায় নেই। তাই তাকে বিবেচনায় আনা হয়নি।’ আর সৌম্য সরকারের না থাকার কারণ তার বিয়ে। এ তথ্য জানিয়ে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘সৌম্য বিয়ের কারণে ছুটিতে। তাই তাকে নেয়ার প্রশ্নই আসে না।’ দুই তরুণ ইয়াসির আলী চৌধুরী আর পেসার হাসান মাহমুদকে নেয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে প্রধান নির্বাচকের ব্যাখ্যা, ‘আমাদের মনে হয়েছে যে, হাসান মাহমুদ আর ইয়াসির আলী চৌধুরীর মাঝে যথেষ্ঠ সম্ভাবনা ও প্রতিশ্রুতি আছে। তারা দু’জনই আমাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনায় ছিল। আছেও। তাই তাদের একটু পরখ করে দেখার জন্য সুযোগ দেয়া হয়েছে।’