আইভরি কোস্টে চাঙ্গা হতে পারে কোকোর দাম

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ বিশ্বের শীর্ষ কোকো উৎপাদনকারী দেশ আইভরি কোস্ট। প্রতিকূল আবহাওয়ার জেরে দেশটিতে চলতি মৌসুমে পণ্যটির উৎপাদনে মন্দা ভাব বজায় রয়েছে। এদিকে বাড়তি দাম পাওয়ার আশায় দেশটির ব্যবসায়ীরা পণ্যটির রফতানি কমিয়ে মজুদ বাড়াচ্ছেন। ফলে দেশটি থেকে পণ্যটির রফতানি কমে যেতে পারে। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে কোকোর দাম চড়া হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। খবর রয়টার্স।
বিশ্বের মোট উৎপাদনের ৪০ শতাংশ কোকো উৎপাদন হয় আইভরি কোস্টে। তবে খরা ও উত্তপ্ত বাতাসে চলতি মৌসুমে দেশটিতে পণ্যটির উৎপাদন ব্যাপক হারে কমতে পারে, যা দেশটি থেকে পণ্যটির রফতানি কমার পেছনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে। এ আশঙ্কায় এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির দাম চড়া হতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারকন্টিনেন্টাল এক্সচেঞ্জে (আইসিই) সম্প্রতি কৃষিপণ্যটির দাম বেড়ে তিন বছরের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান জানান, সবাই জানে আইভরি কোস্টে এবার মাত্রাতিরিক্ত খরা চলছে। এতে চলতি মৌসুমের মধ্যম পর্যায়ের (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর) কোকো উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর ওপর আবার বাড়তি দামের আশায় দেশটির ব্যবসায়ীরা পণ্যটির বিক্রি কমিয়ে মজুদ বাড়াতে শুরু করেছে।
আইভরি কোস্টের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, প্রতিকূল আবহাওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশটির মধ্যম পর্যায়ের (মার্চ-সেপ্টেম্বর) ফসল। ফলে এ সময়ে দেশটি থেকে পণ্যটির রফতানি কমে সাড়ে তিন থেকে চার লাখ টনে নেমে যেতে পারে। আগের মৌসুমের এ সময়ে দেশটি মোট ৫ লাখ ২৭ হাজার টন কোকো রফতানি করেছিল। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে দেশটি থেকে কৃষিপণ্যটির রফতানি ১ লাখ ৭৭ হাজার থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার টন কমতে পারে।
দেশটির সরকারি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমজুড়ে আইভরি কোস্ট থেকে মোট ২০ লাখ টন কোকো রফতানি হতে পারে। আগের মৌসুমে এর পরিমাণ ছিল ২১ লাখ ৮০ হাজার টন। সে হিসাবে আগের বছরের তুলনায় এবার দেশটি থেকে পণ্যটির রফতানি ১ লাখ ৮০ হাজার টন কমতে পারে।