শরিয়ত সরকারের জামিন কেন নয় জানতে চান হাইকোর্ট

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে বিরূপ বক্তব্যের অভিযোগে কারাগারে থাকা বয়াতি শরিয়ত সরকারকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। গতকাল বিচারপতি মো. ইমদাদুল হক ও বিচারপতি মো. আকরাম হোসাইন চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে শরিয়ত সরকারের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনিরা হক মনি। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ। পরে আইনজীবী মনিরা হক মনি বলেন, তার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আদালত তাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন। এর আগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার আগধল্লা গ্রামের বাউল শিল্পী শরিয়ত বয়াতি (৩৫) গত বছরের ২৪শে ডিসেম্বর ঢাকা জেলার ধামরাই থানাধীন রোহাট্রেক এলাকায় পালাগানের একটি অনুষ্ঠানে মহানবী, মসজিদের ঈমাম ও ইসলামের নানা বিষয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেন বলে অভিযোগ ওঠে। তার এ বক্তব্য ইউটিউবে প্রকাশিত হবার পর তা তার নিজ গ্রামের কিছু মানুষের নজরে আসে।
এরপর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে শরিয়ত বয়াতির বিচারের দাবিতে এলাকায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। এরপর গত ৯ই জানুয়ারি আগধল্লা গ্রামের স্থানীয় এক মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মো. ফরিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শরিয়ত সরকারের বিরুদ্ধে মির্জাপুর থানায় মামলা করেন। পরে মির্জাপুর থানা পুলিশ ১১ই জানুয়ারি সকালে তাকে ময়মনসিংহ ভালুকা উপজেলার বাশিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে শরিয়ত বয়াতির ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠায়। টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আকরাম হোসেন তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ১৪ই জানুয়ারি তাকে সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে বিবাদী পক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে টাঙ্গাইল আদালতে জামিনের আবেদন করা হয়। ওই আদালত গত ২৯শে জানুয়ারি শরিয়ত বয়াতির জামিন আবেদন খারিজ করে। এরপর রোববার হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। গতকাল এ আবদেনের ওপর শুনানি হয়।