সাতক্ষীরার চাঁদাবাজি-বোমা হামলা মামলার ১৩ আসামি যশোরে আটক

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সাতক্ষীরার আশাশুনি থানার চাঁদাবাজি ও বোমা হামলা মামলার ১৩ আসামি পালিয়ে যাওয়ার সময় যশোরে আটক হয়েছেন। যশোর শহরের মণিহার এলাকা থেকে গত শনিবার রাতে তাদের আটক করে কোতয়ালি থানার পুলিশ। পরে তাদেরকে আশাশুনি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আটক ১৩ আসামি হচ্ছেন-আশাশুনি উপজেলার গদাইপুর গ্রামের মৃত আবু বক্কর মোল্যার ছেলে গোলাম রসুল (৫৬), রেজওয়ান সর্দারের ছেলে মো. তৌহিদ (৩৮), মো. এনামুলের ছেলে মো. রাব্বি (২৫), মো. কুদ্দুসের ছেলে মো. হিমো (২৪), মৃত দাউদ মোল্যার ছেলে আনারুল ইসলাম (৩৮), বাবর আলী মোল্যার ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৪৯), সাঈদ উদ্দিন সর্দারের ছেলে আব্দুস সালাম (৪০), আনারুল ইসলামের ছেলে মোস্তাকিন মোল্যা (২৪), মৃত আতিয়ার রহমানের ছেলে আব্দুল করিম (৫২), জামসেদ আলীর ছেলে মোস্তাকিন হোসেন (২৫), মৃত রজব আলী মোল্যার ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪২), আইয়ুব হোসেনের ছেলে মো. সুজন (২০) ও মৃত ছবেদ মোল্যার ছেলে মো. নুরুজ্জামান (৪৮)।
পুলিশ জানায়, গদাইপুর গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ১২ একর জমি লিজ নিয়ে ফসালাদি এবং মাছ চাষ করে আসছেন। এ জন্য তার কাছ থেকে প্রতি বছর একই গ্রামের মোজাহার উদ্দিন সরদারের ছেলে শাহনেওয়াজ ডালিম ৫০ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করতেন। কিন্তু এ বছর মঞ্জুরুল ইসলাম চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ডালিম তার ওপর ক্ষিপ্ত হন। এর জের ধরে গত ৩১ জানুয়ারি ডালিম ও তার সহযোগীরা তাকে এবং তার কর্মচারীদের মারধর করেন। এ সময় কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ ঘটনায় মঞ্জুরুল ইসলাম ৩২ জনকে আসামি করে আশাশুনি থানায় একটি মামলা করেন। এই মামলার উল্লিখিত আশাশুনি থেকে একটি পরিবহনে করে পালিয়ে যশোর হয়ে অন্যত্র যাচ্ছিলো। এ খবর পেয়ে কোতয়ালি থানা পুলিশের ওসি মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি টিম গত শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে মণিহার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।