ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখতে খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করে রাখা হয়েছে : অমিত

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ যশোর জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, ১৯৭১ সালে পাকবাহিনী যেভাবে আলবদর, আল-শামস্ বাহিনী তৈরি করে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিল, সেইভাবে আওয়ামী লীগ সরকার একদশকেরও বেশি সময় ধরে বিরোধী মতের মানুষকে হত্যা, গুম করে আসছে। তাদের প্রতিহিংসার শিকার তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। অবৈধ সরকার ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখতে তাকে একটি মিথ্যা মামলার ‘ফরমায়েসি রায়ে’ দীর্ঘ দুই বছর ধরে কারাবন্দি করে রেখেছে। তিনি এখন গুরুতর অসুস্থ। ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। তারপরও সরকার তার চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারাবন্দির দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, দেশে গণতন্ত্র রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহকে রক্ষা তথা জনগণের স্বার্থবিরোধী কর্মকান্ডের জন্যে বেগম খালেদা জিয়া বরাবরই প্রতিবাদ করে গেছেন। বিদেশী প্রভূদের আশীর্বাদপুষ্ট এই সরকার মসনদ টিকিয়ে রাখতে দেশ ও জনগণের স্বার্থবিরোধী কর্মকান্ড করে চলেছে। তাই এর প্রতিবাদী কণ্ঠ বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করে রেখেছে। তিনি জামিন পাওয়ার যোগ্য থাকা সত্ত্বেও তাকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে না। অথচ, কারাদন্ডপ্রাপ্ত সরকারি দলের অসংখ্য নেতা সংসাদ হয়েছেন মন্ত্রীত্ব করছেন। বেগম খালেদা জিয়া দেশের নির্যাতিত নিপীড়িত জনতার কাছে মুক্তির প্রতীক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। বিগত এক দশকের অধিক সময় ধরে পুলিশ, প্রশাসন বিচার ব্যবস্থা সবকিছু দলীয়করণ করে ফ্যাসিবাদি রাষ্ট্র কায়েমের মাধ্যমে জনগণের ওপর যে মধ্যযুগীয় তান্ডব চলছে। এ থেকে মুক্তির একমাত্র পথ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের মত বিগত নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ জনগণের ভোট ডাকাতি করে। এবার তারা ইভিএম ব্যবহার করে। ওই নির্বাচনে শতকরা ১৫ থেকে ১৭ ভাগ ভোট পেয়েছে। তারপরও কতটা নির্লজ্জ হলে সরকার ও নির্বাচন কমিশন বলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। এই হলো দেশের চরম বাস্তবতা।
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেন, দেশের প্রতিটি জনগণ আজ শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার মধ্যে রয়েছে। তাদের কোন স্বস্তি নেই। তারা মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে পারে না, কথা বলতে পারে না। তাদের ভোটদানের বাকস্বাধীনতাও হরণ করেছে এই সরকার। জনগণ এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে চায়। তাই এই জনগণকে সম্পৃক্ত করে একটি দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালোদ জিয়ার মুক্ত করতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুস সালাম আজাদ, নগর বিএনপির সভাপতি মারুফুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নূর-উন-নবী, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুনীর আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আজম, জেলা মহিলা দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জোস্না আলিম, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হোসেন বাবু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হায়দার রানা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর, জেলা তাঁতী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান, জেলা মৎস্যজীবী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাসানুজ্জামান বাবলু প্রমুখ। বিক্ষোভ সমাবেশ পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাড. হাজী আনিছুর রহমান মুকুল।