সালতা খননের ধীর গতিতে বোরো আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তা

0

তালা (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা ॥ সাতক্ষীরার তালা ও খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের এক সময়ের খরস্রোতা নদী সালতা এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের আন্দোলনে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে সালথা খনন কার্যক্রম। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি ও নানা সংকটে খনন কার্যক্রম চলছে মন্থরগতিতে।
প্যাকেজ প্রকল্পের আওতায় ভিন্ন ভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আওতায় বাস্তবায়নাধীন নদী খননে দেয়া হয়েছে আলাদা আলাদা বাঁধ। তবে বাঁধ দিলেও কাজের ধীরগতি বিপাকে ফেলেছে দু জেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া সালথা উপকূলের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষের। মৎস্যচাষ মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে বাঁধ দিয়ে চলতি বোরো মৌসুমেও শেষ করতে পারেনি কাজ। আর এ সময়ে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় সেচ দেয়া যায়নি কোন মৎস্যঘেরে। সমস্যার শুরু মূলত এখান থেকেই। চাষাবাদ মৌসুমের এক মাস পেরিয়ে গেলেও গোটা বিলাঞ্চল জলাবদ্ধ থাকায় বীজতলা থেকে শুরু করে ক্ষেত প্রস্তুত করতে পারেননি কৃষকরা। একদিকে পুরনো মাছ মারা যায়নি, অন্যদিকে বীজতলা ও ক্ষেত প্রস্তুত না হওয়ায় আশঙ্কা জেঁকে বসেছে বোরো আবাদ নিয়ে। এমন পরিস্থিতিতে খুলনা জেলার ডুমুরিয়ার মাগুরখালী সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার খলিলনগর ইউপি চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ সানা ও আজিজুর রহমান রাজু দুই ইউনিয়নবাসীকে সাথে নিয়ে অপসারণ করেছেন একটি ছায়া বাঁধ। আর এতেই নতুন করে বোরো আবাদ নিয়ে কৃষকের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। স্থানীয়রা জানান, খলিলনগর অংশের পানি নিষ্কাশিত হয়ে বদ্ধ সালথা অংশের উপর দিয়ে ডুমুরিয়ার আন্ধারমানিক স্লুইস গেটের মাধ্যমে চিলি নদীর উপর দিয়ে সেই পানি পড়ছে হাতিটানা নদীতে। তবে হাতিখালী বদ্ধ থাকায় নেওড়া জড়ানো খাল দিয়ে ফের সালথার উন্মুক্ত অংশে নিষ্কাশিত হচ্ছে। খালের স্লুইস গেটগুলো বন্ধ থাকায় পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন অনেকটাই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এলাকাবাসী বলছেন, দ্রুততার সাথে সালথা খনন কাজ এগিয়ে নিলে সমস্যার সমাধান হবে। আর বাঁধ অপসারণ না হলে মাছ চাষের পাশাপাশি দু উপজেলার বোরো আবাদ রীতিমত হুমকির মুখে পড়বে।