পাইকগাছায় চিংড়ি ঘের নিয়ে কোন্দলে আহত ৬

0

পাইকগাছা (খুলনা) সংবাদদাতা ॥ খুলনার পাইকগাছায় চিংড়ি ঘেরে বাঁধ দেয়া এবং কেটে দেয়া নিয়ে হামলার ঘটনায় দুই মহিলাসহ ৬জন আহত হয়েছেন। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার লতা ধলাই গ্রামের সবুজ মৎস্য খামারে এ ঘটনাটি ঘটেছে। উপজেলার লতার ধলাইতে প্রয়াত ঘের মালিক ফসিয়ার রহমানের বড় ছেলে মাশফিয়ার রহমান সবুজের নামে ৪শ বিঘার একটি চিংড়ি ঘের রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, ঘের মালিক সবুজ সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের উন্নয়নে আর্থিক সহায়তা স্বরূপ ঘের থেকে সাড়ে ৩শ বিঘার একটি ঘের আলাদা করে গ্রামবাসীকে দিয়েছেন। কিন্তু গ্রামবাসীর একাংশ অভিযোগ, ঘেরে দায়িত্বে থাকা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য দেবাশীষ রায়ের পরিবার হিসাব-নিকাশ নিয়ে তঞ্চকী করে আসছেন। যার প্রেক্ষিতে এ বছর উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে ঘের মালিক সবুজ বলেন, চলতি মৌসুমে গ্রামের অনেকেই এ ঘরটি দাবি করলে আমি কাউকে না দিয়ে তা নিজে করার সিদ্ধান্ত নিই। বাঁধ কেটে বড় ঘেরের সঙ্গে মিশিয়ে দিলে দেবাশীষ মেম্বারের পরিবার তা আবার বেঁধে দেয়। ঘের কর্মচারী বরুন রায় ও সুব্রত মন্ডল জানান, ঘটনার দিন সকালে তারা আবারও বাঁধ কেটে বাসায় গেলে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য দেবাশীষ, তার বাবা সুনীল রায়, ভাই আশীষ, সাগরসহ ৮/১০জন হামলা চালিয়ে আমাদেরকে লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করে। এ সময় তারা বাসাবাড়িও ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় বরুন রায়, কুমারেশ সরকার, সুব্রত মন্ডল, মনিশংকর রায়কে মারধর করা অবস্থায় ঠেকাতে গেলে সন্ধ্যা ও রিক্তা মন্ডল আহত হন। পুলিশের এস.আই মিন্টু মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় ঘের ম্যানেজার মনিশংকর রায় দেবাশীষ, আশীষসহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।