যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল বহনযোগ্য এক্স-রে মেশিনটি বিকল হয়ে আছে ১০ বছর

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের একটি এক্স-রে মেশিন দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে না। ফলে রোগীরা যেমন সেবা পাচ্ছে না, তেমনি মেশিনটি ব্যবহার না করায় নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছেন, হাসপাতালের মেডিসিন, কার্ডিয়াক, সার্জারি, অর্থোপেডিকসসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে যে সকল রোগী মারাত্মক অসুস্থ এক স্থান হতে অন্য স্থানে নেয়া যায় না। তাদের চিকিৎসায় যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সরবরাহ করা হয় ‘পোটেবল’-এক্স-রে মেশিনটি। এ মেশিন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে মুমূর্ষু রোগীদের এক্স-রে করা যায়। যা অতি প্রয়োজনীয়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও কর্মচারীদের কর্তব্যে অবহেলার কারণে মেশিনটি মুমূর্ষু রোগীদের কোন উপকারে আসছে না। এ পর্যন্ত মাত্র একজন রোগীকে ওই মেশিনে এক্স-রে করা হয়েছিল। এরপর আর কোন এক্স-রে করা হয়নি। ফলে ২০১০ সাল হতে ২০২০ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১০ বছর এক্স-রে রুমে মেশিনটি পড়ে রয়েছে। এতে লাখ লাখ রোগী ওই মেশিনের সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
সূত্র জানিয়েছে, এ জাতীয় মেশিন দীর্ঘদিন ব্যবহার না করলে এমনিতেই নষ্ট হয়ে যায়। বছরের পর বছর ‘পোটেবল’ এক্স-রে মেশিনটি ব্যবহার না করায় নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। নিয়মিত ব্যবহার করলে মেশিনটি যেমন সচল থাকবে তেমনি মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকা মুমূর্ষু রোগীরা উপকৃত হবেন। এতে সরকারের রাজস্বের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে। মুমূর্ষু রোগীদের এক্স-রে করতে হলে ওয়ার্ড থেকে অন্যত্র নেয়া লাগবে না। বর্তমানে হাসপাতালে ৩টি এক্স-রে মেশিন রয়েছে। এর ভেতর দুটি ডিজিটাল ও একটি ফোসকপি এক্স-রে মেশিন। একটি ডিজিটাল ও ফোসকপি মেশিনে রোগীদের এক্স-রে করানো হচ্ছে। অপর এক্স-রে মেশিনটি বসানোর কার্যক্রম চলছে। কয়েকদিনের ভেতর এ কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। এ ব্যাপারে হাসপাতালের নবাগত সিভিল সার্জন ডা. দিলীপ কুমার রায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি দেখছি।