ওষুধ কোম্পানির ৬ প্রতিনিধি আটকের পর মুক্ত

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ নিয়ম বহির্ভুতভাবে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রবেশ ও রোগীর টিকিট নিয়ে হয়রানি করার অভিযোগত গতকাল ওষুধ কোম্পানির ৬ প্রতিনিধিকে আটক করেন তত্ত্বাবধায়ক। পরে কোম্পানির কর্মকর্তাগণ শর্ত সাপেক্ষে তাদের মুক্ত করে নিয়ে যান। সূত্র জানিয়েছেন, প্রতি শনি ও মঙ্গলবার বেলা ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে বহিঃর্বিভাগের চেম্বারে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা চিকিৎসকদের সাথে সাক্ষাত করতে পারবেন। জেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটি এ নিয়ম করে দেন। নিয়ম ভঙ্গ করে কোম্পানির প্রায় অর্ধশত প্রতিনিধি গতকাল সকাল ৯টা থেকে হাসপাতালে প্রবেশ করেন এবং চিকিৎসকদের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফেরা রোগীদের ধরে টিকিট নিয়ে মোবাইল ফোনে ছবি তুলছিলেন এবং কোন চিকিৎসক কোন কোম্পানির উৎপাদিত ওষুধের প্রেসক্রিপশন লিখেছেন তা যাচাই করছিলেন। এতে রোগীরা চরম হয়রানি হচ্ছিলেন। তখন তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমারের নির্দেশ সহকারী পরিচালক ডা. হারুন-অর-রশিদ আরএমও ডা. মো. আরিফ আহমেদ কোম্পানির প্রতিনিধিদের ধরতে অভিযানে নামেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে অনেকে পালিয়ে যান। এ সময় তিনি ৬ জনকে আটক করতে সক্ষম হন। তাদেরকে হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায়ের অফিস কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। তত্ত্বাবধায়ক তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে হস্তান্তর করে শাস্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আটক হওয়া ওই ৬ জন এমএএফ, নাভানা ও অপসোনিন ফার্মাসিউক্যালে চাকরি করেন। পরে ওই সব কোম্পানির যশোরস্থ এরিয়া ম্যানেজারগণ আটককৃতদের মুক্ত করতে তত্ত্বাবধায়কের কাছে যান। ওই কর্মকর্তাগণ তত্ত্বাবধায়ককে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, আর কোনদিন নিয়ম ভঙ্গ করলে হাসপাতালে প্রবেশ করবে না। এ শর্তে তারা আটককৃতদের মুক্ত করে নিয়ে যান।