লোহাগড়ায় সরকারি জমির গাছ কেটে নিলেন ইউপি চেয়ারম্যান

0

শিমুল হাসান, লোহাগড়া (নড়াইল) ॥ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি খাস জমিতে থাকা মেহগনি গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে। একাধিক সূত্র জানায়, লাহুড়িয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পিছনে সরকারি খাস জমিতে থাকা একটি মেহগনি গাছ পরিষদের চেয়ারম্যান নিজে উপস্থিত থেকে লোক দিয়ে কেটে নিয়েছেন। এখন কেটে নেওয়া গাছের গোড়া পড়ে আছে। গত রোববার সকালে ওই গাছ কাটা হলেও পরদিন সোমবার সকালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখানকার বাসিন্দা চিত্ররঞ্জন কুন্ডু ও কোবাদ বিশ^াস। ওই দুটি বাড়ি সরকারি জমিতে এবং বাড়ি দুটির মাঝখানে কেটে নেওয়া মেহগনি গাছের অবস্থান ছিল। কোবাদ বিশ^াসের স্ত্রী রুবিয়া বেগম ও ছেলে ইব্রাহিম বিশ^াস বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান মো. দাউদ হোসেন নিজে উপস্থিত থেকে লোক দিয়ে গাছটি কেটে নিয়ে গেছেন। তিনি জানান, চেয়ারম্যান আমার বাড়ির পাশের আরো একটি সরকারি মেহগনি গাছ কেটে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ডালপালা কিছুটা কেটেছেন। সম্পূর্ণ গাছ এখনো কেটে নেননি। গাছগুলো নাকি চেয়ারম্যান লাগিয়েছেন। কেটে নেওয়া গাছের দাম ১০/১৫ হাজার টাকা হবে। চিত্ররঞ্জন কুন্ডুর স্ত্রী ইতিকা রাণী কুন্ডু বলেন, দাউদ চেয়ারম্যান নিজে উপস্থিত থেকে ওই গাছটি কেটে নিয়েছেন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন সরকারি গাছ কেটে নিয়ে নিজ বাড়ির আসবাবপত্র বানাচ্ছেন। লাহুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন গাছ কেটে নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘গত ১৫ বছর আগে অব্যবহৃত ওই সরকারি খাস জমিতে আমি অনেক মেহগনি গাছ নিজ হাতে লাগিয়েছিলাম। আমার ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে চেয়ার সংকট আছে। চেয়ার বানানোর জন্য ওই গাছ কেটে এনেছি। গাছের পাতা পড়ে পাশর্^বর্তী দুটি টিনের ঘর নষ্ট হওয়ার কথা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল।’লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুকুল কুমার মৈত্র বলেন, ‘চেয়ারম্যান সরকারি গাছ কেটে নিয়েছেন কিনা জানিনা। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’