বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে থামছে না হুন্ডি পাচার

0

নাভারণ (যশোর) সংবাদদাতা ॥ যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে থামছে না হুন্ডি পাচার। গত ২ বছরে এ সিমান্ত এলাকা থেকে ২০ কোটি ২৫ লাখ টাকা, ৮ লাখ ইউএস ডলার, ৮ লাখ রুপি ও ৭০ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড জব্দ করেছে বিজিবি, পুলিশ ও শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। তবে ধারণা করা হচ্ছে পাচার হয়েছে কয়েকগুণ। অভিযোগ আছে, প্রশাসন বিভাগের অনিয়ম দুর্নীতির সুযোগে শক্তিশালী চক্র অবৈধ অনুপ্রবেশকারী, পরিবহন কর্মচারী, চেকপোস্টের বৈধ ও অবৈধ মানিচেঞ্জার ব্যবসায়ী, সিএন্ডএফ কর্মচারী ও পাসপোটধারী যাত্রীদের মাধ্যমে সিমান্ত পথে হুন্ডি পাচার করছে। কেউ কেউ আটক হলেও পর্দার আড়ালে থেকে যায় প্রকৃত চোরাকারবারী। বেনাপোল আন্তজার্তিক চেকপোস্ট এলাকায় ভারতের সাথে ৭০ কিলোমিটার সিমান্ত রয়েছে। এ সিমান্তের বিভিন্ন পযেন্ট দিয়ে অর্থ পাচার হয়ে থাকে। বিশেষ করে ব্যাংক হিসাব বিবরণী দিয়ে ভিসা পাওয়া পাসপোর্টধারী যাত্রীরা ভারতে যাওয়ার সময় হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ নিয়ে যান। এছাড়া চোরাচালানীরা লেনদেন হুন্ডির মাধ্যমে করে থাকে। বেনাপোল আন্তর্জার্তিক চেকপোস্ট এলাকায় শতাধিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ব্যবসার আড়ালে হুন্ডি ব্যবসার সাথে জড়িত। ২০ কোটি ২৫ লাখ টাকা, ৮ লাখ ইউ এস ডলার, ৮ লাখ রুপি ও ৭০ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড জব্দ করেছে বিজিবি, পুলিশ ও শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। এ সময় অভিযান চালিয়ে ৯৭ জন হুন্ডি পাচারকারীকে আটক করে। তবে যারা আটক হয় তারা প্রকৃত মালিক নন তারা টাকার বিনিময়ে এসব হুন্ডির টাকা বহন করে থাকে। আসল ব্যবসায়ীরা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় হুন্ডি পাচারকারীরা এ সিমান্ত ব্যবহার করছে। হুন্ডি ব্যবসায়ী একটি শক্তিশালী চক্র। যার কারণে বেনাপোল সিমান্ত এলাকায় বন্ধ হচ্ছে না হুন্ডি পাচার । যশোর ৪৯ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল সেলিম রেজা বলেন, ’যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় হুন্ডি পাচারকারীরা বেনাপোল সিমান্ত ব্যবহার করে থাকে। এ ক্ষেত্রে বিজিবি সতর্ক রয়েছে ও গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধিসহ আধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা হচ্ছে। ২ বছরে ১৬ কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে’।নাভারণ সার্কেলের এএসপি জুয়েল ইমরান বলেন, ’শার্শা ও বেনাপোল পোর্ট থানায় গত ২ বছরে অর্থপাচার আইনে ৯৭ জনকে আসামি করে ৭১ টি মামলা হয়েছে। এ সময় ৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা, ৮ লাখ ইউএস ডলার, ৮ লাখ রুপি ও ৭০ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড জব্দ করা হয়েছ্।ে অর্থ পাচার প্রতিরোধে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।