সাতক্ষীরায় রাজমিস্ত্রী কর্তৃক স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ

0

সাতক্ষীরা সংবাদদাতা ॥ সাতক্ষীরার তালায় রাজমিস্ত্রী কর্তৃক এক স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত, শ্লীলতাহানির চেষ্টা, অপহরণ ও খুন-জখমের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসকাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তালা উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের মো. কেরামত আলীর মেয়ে স্কুলছাত্রী মোছা. কাছমিনা খাতুন।
লিখিত বক্তব্যে সে জানায়, ‘আমি পাটকেলঘাটা আদর্শ বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। আমাদের বাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজ করার সুবাদে ৬ মাস আগে একই উপজেলার খানপুর গ্রামের মৃত হাসেম সরদারের ছেলে রাজমিস্ত্রি সাদ্দাম হোসেনের সাথে আমার পরিচয় হয়। কিছুদিন পর সাদ্দাম হোসেন আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করি। এ ঘটনার পর থেকে আমি স্কুলে যাওয়ার পথে সে আমাকে কুপ্রস্তাব দেয় এবং প্রতিনিয়ত পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, বিভিন্ন ধরণের কুরুচিপূর্ণ কথা বলে। বিষয়টি আমার অভিভাবকদের জানালে তারা সাদ্দামকে ডেকে এসবের কারণ জিজ্ঞাসা করলে ভবিষ্যতে সে এ ধরনের অপরাধ আর করবে না বলে মাফ চেয়ে নেয়।’ কাছমিনা খাতুন অভিযোগ করে বলে, ‘লম্পট সাদ্দাম আমার ক্ষতি করার জন্য আমাদের প্রতিবেশী মৃত ইমান আলীর ছেলে একব্বার সরদার ও তার স্ত্রী মর্জিনা বেগমের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে তাদের বাড়িতে আসা যাওয়া শুরু করে। এক পর্যায়ে গত ২০ জানুয়ারি বিকেল পাঁচটার দিকে সাদ্দাম হোসেনকে একব্বারের ঘরের মধ্যে লুকিয়ে রেখে মর্জিনা বেগম আমাকে তাদের বাড়িতে ডেকে গোপন কথা আছে বলে ঘরে বসিয়ে রেখে মুরগির খাবার দেয়ার নামে দরজা দিয়ে বাইরে চলে যায়। এসময় ঘরে লুকিয়ে থাকা সাদ্দাম আমাকে জাপটে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে আমি চিৎকার করায় লম্পট সাদ্দাম পালিয়ে যায়। আমি বাড়িতে এসে অভিভাবকদের বললে একব্বার ও মর্জিনা বেগম এসে এ ঘটনা কাউকে জানালে আমাকে খুন-জখম করবে এবং পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করবে বলে হুমকি দেয়। প্রাণভয়ে বিষয়টি আমরা কাউকে জানাইনি।’ সে আরও জানায়, ‘গত ২৪ জানুয়ারি বিকেলে বাড়ির অদূরে পুকুর থেকে পানি নিয়ে ফেরার পথে সাদ্দাম মোটরসাইকেল আমার গতিরোধ করে এবং বুকে চাকু ধরে মোটরসাইকেলে উঠানোর চেষ্টা করে। এসময় আমার ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে সাদ্দাম মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। এরপর থেকে সে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে নিরাপত্তহীনতায় ভুগছি।’ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।