কেশবপুরে জনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ

0

স্টাফ রিপোর্টার, কেশবপুর (যশোর) ॥ যশোরের কেশবপুর উপজেলার কালিয়ারই গ্রামের জনবসতিপূর্ণ এলাকার একটি পুকুর থেকে মাসখানেক ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। হুমকির মুখে পড়েছে ওই পুকুর পাড়ের সরকারি রাস্তাসহ ১০টি বাড়ি ও সদ্য রোপণকৃত বোরো ধান ক্ষেত। এ ঘটনায় এলাকাবাসি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিলেও বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, জানুয়ারি মাস থেকে উপজেলার কালিয়ারই গ্রামের রিশিপাড়া সড়ক পাকাকরণের কাজ ঠিকাদার বাবুল আক্তার। রাস্তায় বালু সরবরাহের দায়িত্ব নেয় এলাকার নুরুল ইসলাম গাজী। গত ৭ জানুয়ারি থেকে তিনি কালিয়ারই সরকারি রাস্তার পাশের জনবসতিপূর্ণ এলাকার নলপুকুর থেকে বালু উত্তোলন শুরু করেন। এ সময় আশপাশের বাড়িসহ রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় এলাকাবাসীর পক্ষে ফারুক হোসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে একটি অভিযোগ দেন।
ইউএনও অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে উপজেলা সহকারী কমিশনার’কে (ভূমি) নির্দেশ দেন। এ নির্দেশনা পেয়ে বাউশলা ইউনিয়ন সহকারী তহশিলদার কার্তিক রায় বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেন। কিন্তু তিনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পর আবারও বালু উত্তোলন শুরু করেন নুরুল ইসলাম গাজী। এভাবে বালু উত্তোলনের ফলে সরকারি রাস্তাসহ আশপাশের ১৫টি বাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে।
সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, যে পুকুর থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে তার চারপাশে জনবসতিপূর্ণ এলাকা। কালিয়ারই গ্রামে প্রবেশের একমাত্র সরকারি রাস্তার পাশেই নলপুকুর। এই পুকুর থেকে অবৈধভাবে বালূ উত্তোলন করে পাইপের মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রিশিপাড়া সড়কে। কিন্তু ঠিকাদার রাস্তার দু পাশে যেনতেনভাবে বাঁধ দিয়ে বালুমিশ্রিত পানি ফেলছেন। ফলে রাস্তার দু পাশে সদ্য রোপণকৃত বোরো ধান ক্ষেতে বালু জমে আলাল গাজী, শাহাবুদ্দীন, আবুল কাশেম, আবুল গাজী, কার্তিক পালসহ কমপক্ষে ১০/১২ জন কৃষকের ধান ক্ষেত নষ্ট হচ্ছে। ধসে নষ্ট হচ্ছে বসতভিটার জমি। ফারুক হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ২ বছর আগে নুরুল ইসলাম পেশীশক্তি বলে ওই পুকুর থেকে বালু উত্তোলন করেছিলেন। তার বাড়িসহ রাস্তা ধসে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আবারও তিনি বালু উত্তোলন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে নুরুল ইসলাম বলেন, আমি বালু উত্তোলন করছি না। তার পুকুর থেকে অনুমতি নিয়ে বালু উত্তোলন করছেন ঠিকাদার বাবুল আক্তার। আপনি তার সাথে কথা বলেন। ঠিকাদার বাবুল আক্তার বলেন, সরকারি কাজের জন্যে বালু ওঠানো হচ্ছে। তবে আর বালু ওঠানো হবে না। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এনামুল হক বলেন, এলাকা থেকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি অবহিত করার পর বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।