সর্বোচ্চ ৭৭ সর্বনিম্ন ৮ ভাগ ভোট

0

লোকসমাজ ডেস্ক ॥ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৭৭ ভাগ ভোট পড়েছে। সর্বনিম্ন ভোট পড়েছে ৮ দশমিক ৭৩ ভাগ। নির্বাচন কমিশন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। কমিশনে আসা কেন্দ্র ভিত্তিক ফলে দেখা যায় দক্ষিণ সিটির খিলগাঁওয়ের একটি কেন্দ্রে ৭৭ ভাগ ভোট পড়ে। ওই এলাকার নাসিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ৭৬ ভাগ ভোট পড়েছে। উত্তর সিটির নিকুঞ্জ মডেল কলেজে ভোট পড়েছে ৮.৭৩ শতাংশ। দুই সিটির ভোটের হার নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। ঢাকা দক্ষিণে ২৯ এবং উত্তরে ২৫ ভাগ ভোট পড়েছে।
তবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে এই ভোটের হার ছিল ভিন্ন। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন থেকে নানা রকম অস্বাভাবিকতার খবর আসছে। খিলগাঁওয়ের ত্রিমোহনী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র ৬২ ভাগ ভোট পড়া এবং কাছাকাছি ত্রিমোহনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭৩ ভাগ ভোট পড়ার খবরেও চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের হিসাব বলছে, বালুরঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৭৫ ভাগ। ফকিরখালি নুরানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৭৪ ভাগ আর রায়খোলা খিলগাঁও দাখিল মাদ্রাসায় পড়েছে ৭৫ ভাগ। কেন্দ্র ভিত্তিক এ ফলের বিষয়টি স্বীকার করেছেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম। কম ভোটের রেকর্ড নিয়ে সমালোচনার প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন ভোটের হিসাব মেলানোর চেষ্টায় ব্যস্ত। গতকাল দিনভর এ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে তাৎক্ষণিক প্রকাশিত ফলের সঙ্গে ইসির শিটের গরমিলসহ নানা অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েছে এতে। ভোট পরবর্তী ফল বিশ্লেষণে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এবং কমিশনারদের অনেকে এ নিয়ে বিস্ময়ও প্রকাশ করছেন। তবে তাদের দাবি সব কেন্দ্রে সমান ভোট পড়েনি। কমিশনার রফিকুল বলছেন, ভোট কম পড়লেও আইনগতভাবে নির্বাচন ঠিক আছে। তিনি বলেন, ভোট কম পড়ার অনেক কারণ আছে,এর মধ্যে অন্যতম হলো তিন দিনের ছুটিতে অনেকেই ঢাকা ছেড়েছে। তাই ভোট কম পড়েছে। এছাড়া ভোট কেন্দ্রগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই কিংবা তিন তলার উপড়ে হওয়ায় অনেক বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভোট দিতে পারেনি। এছাড়া ঢাকার শহরে প্রায় ৬০ ভাগ মানুষ ভাড়া বাসায় থাকে। তাই অনেক ভোটার এক এলাকার ভোটার হলেও পরবর্তিতে বাসা পরিবর্তন করে অন্য এলাকায় চলে যায়, সে কারণে ভোটের দিন কেন্দ্রে আসতে পারে না।