স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর শহরের পুরাতন কসবা ঘোষপাড়ায় সুমন হোসেন (২৪) নামে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে পুলিশ এলাকার একটি বাগানের আমগাছ থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে। আগেরদিন রবিবার রাতে স্ত্রী ও শ্বশুরের সাথে গোলাযোগ করে সে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। স্বজনদের অভিযোগ, তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে পুলিশের ধারনা, সে আত্মহত্যা করেছে।  পুলিশ জানায়, সুমন হোসেন ঝিকরগাছা উপজেলার বুরুজবাগান এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে। বর্তমানে সে যশোর শহরের পুরাতন কসবা টালিখোলা এলাকায় শ্বশুর আকবর আলীর বাড়িতে থাকতো।
সুমন হোসেনের খালু পালবাড়ি বাজারের মাংস ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম ব্যাটন জানান, ছোটবেলা থেকে সে তার কাছে থেকে বড় হয়েছে। তার মাংসের দোকানে কাজ করতো। কিন্তু ৫ বছর আগে সে তার কাছ থেকে চলে যায়। এরপর সে কখনো অটোরিকশা আবার কখনো ইজিবাইক চালাতো বলে শুনেছেন। সুমন থাকতো টালিখোলায় তার শ্বশুর আকবর আলীর বাড়িতে। গত রবিবার রাতে তাকে তার স্ত্রী শারমিন খাতুন ও শ্বশুর আকবর আলী মারধর করে তাড়িয়ে দেন বলে শুনেছেন। শারমিন খাতুন তাকে তালাক দিয়েছেন বলেও প্রচার রয়েছে। এ ঘটনার পর সোমবার সকালে ঘোষপাড়ার বুড়ির বাগানের একটি আমবাগানে সুমনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। কিন্তু তার লাশ দেখে মনে হয়েছে সে আত্মহত্যা করেনি। কে বা কারা তাকে খুন করে তার লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
সুমন হোসেনের মা ফাতেমা খাতুন জানান, বর্তমানে তিনি সদর উপজেলার মালঞ্চীতে থাকেন। তার ছেলে সুমন টালিখোলায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতো। গত রবিবার রাতে স্ত্রী ও শ্বশুরের সাথে তার ছেলের গোলাযোগ হয়। তার ছেলেকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয় বলে জানতে পেরেছেন। এরপর সোমবার সকালে তার ছেলের লাশ পাওয়া যায়। যোগাযোগ করা হলে কোতয়ালি থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শেখ তাসমীম আলম জানান, সুমন আত্মহত্যা করেছে বলে নমুনা দেখে মনে হচ্ছে।