রিফাত রহমান, চুয়াডাঙ্গা ॥ চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার পল্লীতে এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের পারকৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ইসলাম উদ্দিনের ছেলে মোমিনুল ইসলামকে (২০) আটক করেছে। এলাকায় বখাটে হিসেবে তার কুখ্যাতি রয়েছে। হত্যাকান্ডের শিকার শিশুটি (৭) পারকৃষ্ণপুর গ্রামের কাঠুরে নাসির উদ্দিনের মেয়ে এবং ছয়ঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের ওসি সুকুমার বিশ্বাস জানান, অভাবের সংসারে নাসির উদ্দিন কাঠ কেটে ও তার স্ত্রী অন্যের জমিতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রতিদিনের মত গত শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নাসির উদ্দিন ও তার শিশু মেয়ে বাড়িতে খেতে যান। কিন্তু মেয়েটি বাড়িতে তার মাকে না পেয়ে খুঁজতে বের হয়। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিল সে। নিখোঁজের বিষয়টি জানাজানি হলে মাইকিং করে তার সন্ধানের চেষ্টা করা হয়। একই সাথে সন্ধ্যা থেকে ইউপি মেম্বার খায়রুল বাসারের নেতৃত্বে যুবকরা গ্রামের বিভিন্ন স্থান ও মাঠে শিশুটির খোঁজ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে রাত নয়টার দিকে তারা একই গ্রামের আয়ুব আলীর সিমক্ষেতে শিশুটির লাশ দেখতে পান। তারা সাথে সাথে খবর দেন পুলিশকে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আলামত হিসেবে শ্যাম্পুর খালি প্যাকেট উদ্ধার করে। ওসি জানান, আলামত দেখে অনেকটা নিশ্চিত শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ^াসরোধে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ স্থানীয় এক দোকানির দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ওই গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে বখাটে যুবক মোমিনুল ইসলামকে আটক করেছে। রোববার দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য স্কুলছাত্রীর লাশটি চুয়াডাঙ্গা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।