আদম ব্যবসায়ীর খপ্পরে মালয়েশিয়ায় নিখোঁজ হরিণাকুন্ডের দুই যুবক

0

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ ॥ ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুর দুই যুবককে মালয়েশিয়ায় চাকরি দেয়ার নামে আদম ব্যবসায়ী নিয়ে যাবার পর তাদের আর খোঁজ মিলছে না। নিখোঁজ রয়েছে। তাদের মালয়েশিয়ায় নিয়ে টাকার জন্য আটকে রাখা হয়েছে। এক বছর ধরে তাদের খোঁজ মিলছে না। নিখোঁজ দুই যুবক হলেন, হরিণাকুন্ডু উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে আব্দুল জব্বার ও একই গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে মামুন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের কুঠি দুর্গাপুর গ্রামের আদম ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন ও তার ছেলে রহিম ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে তাদের মালয়েশিয়ায় পাঠায়। এখন তাদের খোঁজ মিলছে না। এদিকে সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের খলিল ও ঝোড়ো নামে দুই প্রতারক আদম ব্যবসায়ীর বাড়ি ঘেরাও করে ভুক্তভোগী মানুষ। খলিল আর ঝোড়ো মালয়েশিয়ায় পাঠানোর নাম করে বহু লোকের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ।
খোঁজ নিয়ে গেছে, হরিণাকুন্ডু উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের আব্দুল জব্বার ও একই গ্রামের মামুন এক বছর আগে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা তুলে দেয় আদম ব্যবসায়ী মহিউদ্দিনের হাতে। এর পর তারা ওই দুইজনকে মালয়েশিয়ায় পাঠায়। পাঠানোর পর দালাল মহিউদ্দিনের ছেলে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত রহিমের খপ্পরে পড়ে আব্দুল জব্বার ও মামুন। প্রথমে রহিম ওই দেশে নিয়ে মামুন ও জব্বারকে একটি কাজ দেয়। তারপর তাদের উপার্জনের টাকা থেকে কমিশন নেয় সে। এভাবেই প্রায় ১ বছর কমিশন খেতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা কমিশন দিতে অপরাগতা জানালে দালাল রহিম তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে পাসপোর্ট কেড়ে নেয়। এরপর থেকে আব্দুল জব্বার ও মামুনের দুর্বিসহ জীবন শুরু হয়। স্বজনরা অভিযোগ করেন, চার মাস ধরে আব্দুল জব্বার ও মামুনের কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। তারা মরে গেছে না বেঁচে আছে তাও বোঝা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় দুটি পরিবারের মাঝে চলছে আহাজারি। আদম ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন বিভিন্ন সময় প্রায় ১৫ জনকে বিদেশ পাঠানোর নামে অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ ধরনের অপকর্ম করেও বহাল তবিয়তে ঘুরছে আদম ব্যাপারী মহিউদ্দিন। আদম ব্যবসায়ী মহিউদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি এ পর্যন্ত অনেককেই বিদেশ পাঠিয়েছি। আমার ছেলে রহিম মালয়েশিয়া আছে। সেখানে সে অনেকের কাজ দিয়েছে। এর আগে কখনও এরকম সমস্যা হয়নি। তবে আব্দুল জব্বার ও মামুনের বিষয়ে একটু সমস্যা হয়েছে। সমাধানের জন্য আমি চেষ্টা করছি। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মঈন উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।