বাগেরহাটে স্কুলছাত্রী ও নববধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু

0

বাগেরহাট সংবাদদাতা ॥ বাগেরহাটে এক স্কুলছাত্রী ও এক নববধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ দু জনের মরদেহ উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। শনিবার দুপুরে ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ জানায়, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌর সদরের বারইখালী গ্রামে ২০ টাকার জন্য আত্মহত্যা করেছে রাবেয়া আকতার (১২) নামে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী। সে বারইখালী ফকিরবাড়ি এলাকার সেলিম ফকিরের মেয়ে। শুক্রবার দুপুরে ফেরিওয়ালার কাছ থেকে প্রসাধনী কেনার জন্য মায়ের কাছে সে ২০ টাকা চায়। মা টাকা না দেয়ায় সে টাকার জন্য অনেক অনুনয় বিনয় করে। তারপরও টাকা না পেয়ে দুঃখে-ােভে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। ঘরে এসে মেয়েকে আড়ার সাথে ঝুঁলতে দেখে মা চিৎকার দেয়। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে রাবেয়াকে নামিয়ে মোরেলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ফকিরহাটে নববধূ সোনিয়া বেগম (১৯) এর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে হোচলা গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে একটি সবেদা গাছের ডালের সাথে গলাই ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। পুলিশ জানায়, সাতবাড়িয়া গ্রামের বিল্লাল হোসেনের মেয়ে সোনিয়ার তিন মাস আগে প্রেম করে হোচলা গ্রামের জামাল ফরাজীর ছেলে রহিম ফরাজীর সাথে বিয়ে হয়। তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি সোনিয়া রাতের কোন এক সময় সকলের অজান্তে গাছের ডালের সাথে গলাই ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে কেন সোনিয়া আত্মহত্যা করেছেন এ ব্যাপারে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন পরিষ্কার কিছু বলতে পারেননি। ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খায়রুল আনাম বলেন, ’সনিয়া কি কারণে আত্মহত্যা করেছেন সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে’।