আন্তর্জাতিক সংবাদ

0

অবশেষে ব্রেক্সিট কার্যকর: ছিন্ন ইইউ-যুক্তরাজ্যের ৪৭ বছরের সম্পর্ক
লোকসমাজ ডেস্ক ॥ দীর্ঘ রাজনৈতিক সংকট পাড়ি দিয়ে অবশেষে যুক্তরাজ্যের বহুল প্রতীতি ব্রেক্সিট ঘটল। আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ৪৭ বছরের সদস্যপদ ছাড়ল যুক্তরাজ্য। এর জন্য গণভোটের তিন বছর পর নানা রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে এটি কার্যকর করতে সম হলো লন্ডন। বিবিসি জানায়, স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১১টায় যুক্তরাজ্যের জন্য ঐতিহাসিক এই মুহূর্তটি আসে। ব্রেক্সিটকে স্বাগত জানিয়ে উদ্যাপন অনুষ্ঠিত হলেও বিােভ করে এর বিরোধীরা। ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে মোমবাতি জ্বালিয়ে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে স্কটল্যান্ডে। তারা গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পে মত দিয়েছিল। এদিকে লন্ডনের পার্লামেন্ট স্কয়ারে উৎসব করেছে ব্রেক্সিটপন্থীরা। এদিকে ব্রেক্সিটের এক প্রতিক্রিয়ায় এক ঘণ্টা আগেই সামাজিক মাধ্যমে এক বার্তায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন: ‘অনেকের জন্য এই মুহূর্তটি বিস্ময়কর ও আশা জাগানিয়া মুহূর্ত, এমন একটি মুহূর্ত যেটি তারা কখনো আসবে বলে ভাবেনি।’

মিয়ানমারসহ আরও ৬ দেশের ওপর ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা
লোকসমাজ ডেস্ক ॥ মিয়ানমার, নাইজেরিয়াসহ নতুন ৬টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, মূলত মুসলিম নাগরিকদের চলাচলের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করতে হোয়াইট হাউজের এই পদপে। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে এই নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেছিল মার্কিন আদালত। নাছোড়বান্দা ট্রাম্প স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আবার আপিল করেন। ওই বছর ফেব্রুয়ারিতে সেই আপিলে হেরে যান। দুই বছর আগে ট্রাম্পের দেওয়া নির্বাহী আদেশে ইরান, ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন, লিবিয়া, সোমালিয়া ও সুদানের নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের ওপর ৯০ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। পরে আদালতের নির্দেশে এই সাত দেশের অনেক নাগরিক ভিসা পান। নির্বাচনের বছরে ট্রাম্পের এই কর্মকাণ্ডকে ‘বিপজ্জনক’ বলছেন মানবাধিকার কর্মীরা। নতুন ৬টি দেশের মধ্যে মিয়ানমার, নাইজেরিয়া বাদে নাম আছে ইরিত্রিয়া, সুদান, কিরগিজস্তান এবং তানজানিয়া।

সৌদি আরব কখন তুমি কথা বলবে: এরদোয়ান
লোকসমাজ ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা’ ঘোষণায় সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় দেশগুলোর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ান। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে পাশে নিয়ে ট্রাম্প ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে ‘শতাব্দীর সেরা চুক্তি’ হিসেবে পরিচিত শান্তি পরিকল্পনাটি ঘোষণা করেন। ফিলিস্তিনি জনগণ পরিকল্পনাটি নাকচ করেছে। এটির মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি দখলদারি আরও চূড়ান্ত রূপ নেবে বলে খোদ মার্কিন আইনপ্রণেতারা অভিযোগ করেছেন। রয়টার্স জানায়, ফিলিস্তিন নিয়ে আরব দেশগুলোর অবস্থান অত্যন্ত শোচনীয় বলে এরদোয়ান মন্তব্য করেন। ট্রাম্পের পরিকল্পনা নিয়ে এসব দেশের কথা বলার ব্যর্থতা ফিলিস্তিনিদের ‘গুরুতর কোনো পরিণতির’ জন্য দায়ী থাকবে। আঙ্কারায় মতাসীন একেপি পার্টির সদস্যদের এক বৈঠকে এরদোয়ান বলেন, ‘ফিলিস্তিন নিয়ে ট্রাম্পের এই পরিকল্পনায় মুসলিম বিশ্বের বিবৃতিতে দেখলে আমার নিজেদের প্রতি করুণা হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘সৌদি আরব- বেশির ভাগ েেত্র তুমি নীরব। কখন তুমি কথা বলবে? ওমান, বাহরাইন, আবুধাবি নেতৃত্বরাও একই আচরণ করছে। এই সব আরব নেতা বরং সেখানে গিয়ে তাদের প্রশংসা করে। তাদের প্রতি লজ্জা।’ প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের পরিকল্পনাটিতে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের অবিচ্ছেদ্য রাজধানী রাখার অঙ্গীকার আছে। এতে ট্রাম্প একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রেরও প্রস্তাব করেছেন এবং পশ্চিম তীরের ইহুদি বসতির ওপর ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেয়ার পরিকল্পনাও রেখেছেন। তবে ফিলিস্তিনিদের দাবি, এই পরিকল্পনাতে তাদের নিজস্ব রাষ্ট্রের সংকল্প প্রতিফলিত হয়নি। এ ছাড়া জেরুজালেমকেও তাদের কাছ থেকে কেড়ে নেয়া হয়েছে।