যশোরে পেশাদার খুনি কুখ্যাত কাজলকে খুঁজছে পুলিশ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে ক্ষমতাসীন দল আশ্রিত পেশাদার খুনি কুখ্যাত ইয়াছিন মোহাম্মদ কাজলকে (২৮) খুঁজছে পুলিশ। দেড় বছর আগে শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়ায় যুবলীগকর্মী শরিফুল ইসলাম সোহাগকে খুন করার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে। সদর উপজেলার হাশিমপুরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত জুয়েলের মতো সেও ভয়ঙ্কর খুনি বলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মনে করছেন। কুখ্যাত ইয়াছিন মোহাম্মদ কাজল যশোর শহরের পুরাতনকসবা কাজীপাড়ার গোলামপট্টির মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে। পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, কাজল মূলত খুনি। একই সাথে মাদকাসক্ত। ইতোমধ্যে সে নিজের সহযোগীসহ কয়েকজনকে নৃসংশভাবে হত্যা করেছে। দেড় বছর আগে ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে কাজীপাড়ায় সে তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সহযোগী শরিফুল ইসলাম সোহাগ নামে একজন যুবককে খুন করার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে। কাজলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা সোহাগকে ছুরিকাঘাতে ও জবাই করে হত্যা করেছিলো। আচমকা ছুরিকাঘাতে সোহাগ মাটিতে পড়ে যাওয়ার পর কাজলই তাকে জবাই করে। এর আগে শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ডিশ মানিক এবং কাজীপাড়া তেঁতুলতলায় ভৈরব নদের পাড়ে রুহুল নামে আরো একজন যুবককে একইভাবে জবাই করে হত্যা করা হয়েছিলো কিলার কাজলের নেতৃত্বে। চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাদের হত্যা করা হয়। এছাড়া আরো কয়েকটি খুন-খারাবির সাথে জড়িত কিলার কাজল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাজীপাড়া এলাকার একটি সূত্র জানায়, কিলার কাজল আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপের বড়ভাইদের লোক হিসেবে পরিচিত। তবে জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলনের সাথে তার সম্পর্ক গভীর। টাক মিলনের বাহিনীর খুনি হিসেবেই পরিচিতি তার।
সূত্র জানায়, কিলার কাজল মাদকাসক্ত। পাশাপাশি ইয়াবা ট্যাবলেটের ব্যবসায়ের সাথে জড়িত ছিলো। সে কাজীপাড়ার একটি বাড়ি দখল করে সেখানে নেশার আসর বসাতো। যুবলীগকর্মী সোহাগ খুনের পর পুলিশ তাকে ধরতে ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। কিন্তু তাকে না পাওয়া গেলেও পুলিশ সেখান থেকে ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম এবং কনডম পেয়েছিল। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, কাজল পলাতক থাকলেও আশ্রয়তাদা বড়ভাইদের সাথে তার যোগাযোগ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এ কারণে টাকার প্রয়োজন হলে যশোর থেকে তা চলে যাচ্ছে তার কাছে। যশোর পুলিশ প্রশাসনের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম কুখ্যাত কাজল প্রসঙ্গে বলেন, ‘সে একজন পেশাদার কিলার। চরমপন্থি জুয়েলের মতো সেও ভয়ঙ্কর কিলার। পুলিশ তাকে আটকের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে’।