লোকসমাজ ডেস্ক ॥ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে প্রচারণা চালাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রচারণার শেষদিনে ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণাকালে আহত হন তিনি। এ সময় পাঁচ থেকে ছয়জন দলীয় নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
জানা যায়, তেজগাঁও বাস স্ট্যান্ড থেকে রিজভীর নেতৃত্বে মিছিল শুরু হলে ‘জয় বাংলা স্লোগান’ দিয়ে ২০-২৫ জন যুবক লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। পরে আহতাবস্থায় দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে কাকরাইলে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ বিষয়ে রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, ধানের শীষের পক্ষে ভোট এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে কর্মীদের নিয়ে মিছিল করছিলাম। এ সময়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। কিছু বুঝে উঠার আগেই হামলার শিকার হয়ে রাস্তায় পড়ে যাই। এসময় পায়ে ও হাতে প্রচন্ড আঘাত পেয়েছেন বলে জানান তিনি। ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে অর্থোপেডিক চিকিৎসক ইকবাল হাসান চৌধুরীর অধীনে তার চিকিৎসা হচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তির পর দলের নেতৃবৃন্দরা তাকে দেখতে যান।
গতকাল এক বিবৃতিতে এই হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থীর শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রচারণার সময় আজ সরকারের মদদে সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলায় আগামী ১লা ফেব্রুয়ারী ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পরিণতি আরও স্পষ্ট হলো। ঢাকা সিটি নির্বাচনে ধানের শীষের গণজোয়ার সহ্য করতে না পেরে সন্ত্রাসীরা এই বর্বরোচিত হামলা সংঘটিত করলো। বরাবরের মতো নির্বাচনকে একতরফা করতেই আজকের এই ঘৃন্য হামলা। বিএনপি’র প্রার্থীদের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় সন্ত্রাসী হামলার উদ্দেশ্যই হচ্ছে, ভোটের দিন যেন ভোটার’রা ভোটকেন্দ্রে যেতে সাহস না পায়। বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে নির্বাচনী প্রচারণায় সন্ত্রাসীদের নৃশংশ হামলা পরিকল্পিত। অতীতের মতোই আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতি করতে চায় মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ক্ষমতার দাম্ভিকতায় ত্রাস সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগ অতীতের মতোই ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও ভোট ডাকাতি এবং জালিয়াতির মেশিন ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট কারচুপি করে তাদের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে চায়। তবে আগামী ১লা ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও ভয়ভীতিমুক্ত করতে জনগণই হচ্ছে সবচেয়ে বড় শক্তি। ভোটের দিন ভোটার’রা সরকারের সকল বাধা বিপত্তি ও ষড়যন্ত্রজাল ছিন্ন করতে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াবে।