পাশাপোলের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পারিবারিক ও জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে পুঁজি করে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতন নিপীড়নের অভিযোগ তুলে চৌগাছার সলুয়া গ্রামের একটি পরিবারকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এসব হয়রানি ও ষড়যন্ত্রের পেছনে চৌগাছা উপজেলার পাশাপোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ইন্ধন রয়েছে বলে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে গত রোববার দুপুরে প্রেসকাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যশোর চৌগাছা উপজেলার সলুয়া গ্রামের বাসিন্দা ইসহক আলীর ছেলে আকমল হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে আকমল হোসেন বলেন, ‘আমার দাদা অনেক আগে চৌগাছার হাউলী, দুড়িয়ালী ও মালিগাতি গ্রামে ১৫-১৬ একর জমি পর্যায়ক্রমে ক্রয় করেন। ক্রয় সূত্রে এসব জমি রেজিস্ট্রি ও নামপত্তন করে দীর্ঘদিন আমার বাবা খাজনা পরিশোধ করে আসছেন। অথচ এসব জমির মালিকানার বৈধতা নিয়ে মালিগাতি গ্রামের বাসিন্দা জয়দেব কুমার, হাওলী গ্রামের শ্রী বিপুল চন্দ্র ও শ্রী রনজিৎ হালদারসহ কতিপয় কুচক্রীমহল ষড়যন্ত্র করে। তারা জমিগুলো দখলের জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্র শুরু করে। এসব বিষয়ে আমরা আদালতে মামলা করি। এরপর থেকে তারা আমাদের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু নির্যাতন, তাদের বাড়িঘর ভাঙচুরের কল্পিত অভিযোগ তুলে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ভুল তথ্য সরবরাহ করে আমাদেরকে সমাজের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, ‘এসব ষড়যন্ত্রের বিষয়ে মূল ইন্ধনদাতা হচ্ছেন পাশাপোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অবায়দুল ইসলাম সবুজসহ স্থানীয় কয়েকজন। তারা পারিবারিক ও জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছেন। প্রতিনিয়ত আমাদেরকে সংখ্যালঘু নির্যাতনকারী চিহ্নিত করে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ তুলছেন। অথচ এসব অভিযোগের কোনটিই সত্য নয়।’ সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এসব অপপ্রচারের বিষয়ে সাংবাদিকদের সতর্ক থাকার আহবান জানান। সংবাদ সম্মেলনে আকমল হোসেন ছাড়াও তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে পাশাপোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অবায়দুল ইসলাম সবুজের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলনে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মোটেও সত্য নয়। প্রকৃতপক্ষে তারা এলাকায় ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনের বিপুল সংখ্যক জমি দখলের পাঁয়তারা করছেন তারা। এসব বিষয়ে এলাকার লোকজন মানববন্ধনসহ নানাভাবে প্রতিবাদ করে আসছেন। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমিও তাদের সাথে এসব কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছি। এটাই আমার অপরাধ।’