চুয়াডাঙ্গায় মুদি ও চায়ের দোকানগুলোয় অবাধে বিক্রি হচ্ছে নানা রোগের ওষুধ !

0

রিফাত রহমান,চুয়াডাঙ্গা ॥ চুয়াডাঙ্গা শহরসহ গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন মুদি ও চায়ের দোকানে অবাধে বিক্রি হচ্ছে নানা রোগের ওষুধ। প্রশাসনের নজরদারির অভাবে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই মুদি ও চায়ের দোকানদাররা এ সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা শহরসহ একাধিক মুদি ও চায়ের দোকানে অহরহ মিলছে প্যারাসিটামল। এ ছাড়া গ্যাস্ট্রিক, ব্যথানাশক ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ পাওয়া যায় এসব দোকানে। যা সেবনে বাড়ছে নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি। এভাবে চলতে থাকলে জনজীবন মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্যবিদরা। জ্বর, সর্দি, কাশি, মাথাব্যথা, শরীর ও বুক ব্যথার জন্য এখন আর চিকিৎসকের কাছে যেতে হয় না। রোগের বর্ণনা দিলে মুদি ও চায়ের দোকানদার ওষুধ দিয়ে দেন। সেই সঙ্গে বলে দেওয়া হয় খাওয়ার নিয়মও। এখানে ওষুধ নিতে কোনো প্রকার টেস্টের প্রয়োজন হয় না। তাই গ্রামের অসচেতন ও হতদরিদ্র মানুষেরা বিভিন্ন রোগের জন্য এখান থেকেই ওষুধ কিনে সেবন করছেন। এমনকি শিশুদেরকেও সেবন করতে দেওয়া হচ্ছে এসব ওষুধ। এসব ওষুধের মেয়াদ আছে কি না, তাও না দেখেই বিক্রি করা হয়। এর ফলে মানুষের স্বাস্থ্য ও জীবন যেকোনো সময় ভয়ঙ্কর ঝুঁকির মুখে পড়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন মুদি ও চায়ের দোকানদার বলেন, ‘আমরা জটিল কোনো রোগের ওষুধ বিক্রি করি না। গ্যাস, মাথাব্যথা, জ্বর, কাশি-এ ধরনের রোগের ওষুধ বিক্রি করি। এতে বরং মানুষের উপকারই হয়।’ মুদি ও চায়ের দোকানে ওষুধ বিক্রির কোনো প্রকার অনুমতি আছে কি না, জানতে চাইলে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এ ব্যপারে চুয়াডাঙ্গার ড্রাগ সুপার সুকর্ণ আহমেদ বলেন, ‘লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ বিক্রি সম্পূর্ণ অবৈধ। লাইসেন্সকৃত দোকানেও প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ বিক্রি করা যাবে না। ফার্মেসি ছাড়াও অন্য দোকানে ওষুধ বিক্রির বিষয়ে আমরা কিছু তালিকা হাতে পেয়েছি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালালেও আমাদের যাওয়ার খবর পেয়ে যাচ্ছে তারা। তবে আমরা দ্রুতই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’ এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এ.এস.এম. মারুফ হাসান বলেন, মুদি ও চায়ের দোকানিরা কোনোভাবেই ওষুধ বিক্রি করতে পারেন না। এটি দণ্ডনীয় অপরাধ। এতে জনগোষ্ঠী মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে।’ প্রশাসনকে জানিয়ে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।