ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্রসহ দুই তরুণকে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি

0

লোকসমাজ ডেস্ক ॥ রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে কুড়িগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলামের এ-লেভেল পড়ুয়া ছেলে ও শ্যালককে অপহরণ করা হয়েছে। তারা হলো- তানজিম আল ইসলাম দিবস (১৭) ও খালিদ হাসান ধ্রুব (১৯)। দিবস ধানমন্ডির ভার্টিক্যাল হরিজন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের এ লেভেলের ও ধ্রুব ঢাকা কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র। মঙ্গলবার দুপুরে মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের মিনার মসজিদ এলাকা থেকে তাদের অপহরণ করা হয়। অপহরণকারীরা দিবসের পরিবারের সদস্যদের কাছে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে। শুক্রবার এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা করেছেন দিবসের বাবা ফখরুল ইসলাম। থানা পুলিশের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পশ্চিম বিভাগ অপহৃতদের উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, অপহৃত দিবস ঘটনার দিন সকালে জিগাতলার ভাড়া বাসা থেকে সকালে মহাখালীতে যায়। সেখান থেকে দুপুরে তার মামা ধ্রুবর সঙ্গে মোহাম্মদপুরের তাজমহাল রোডে কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার কথা ছিল। কিন্তু, এরপর থেকেই পরিবারের সদস্যরা তাদের দুজনেরই মোবাইল বন্ধ পায়। পরে খবর পেয়ে কুড়িগ্রাম থেকে দিবস ও ধ্রুবের পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় আসেন। প্রাথমিক অনুসন্ধানে তাদের সবশেষ অবস্থান তেজগাঁও এলাকায় হওয়ার কারণে তারা ঘটনার দিনই তেজগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নম্বর ১১৭৮) করেন। পরে তেজগাঁও থানা পুলিশ তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে অনুসন্ধান করে অপহৃত হওয়ার ঘটনাস্থল মোহাম্মদপুর বলে জানতে পারে। পরবর্তীতে অভিযোগটি আবার মোহাম্মদপুর থানায় ফরোয়ার্ড করে পাঠানো হয়। অপহৃত হওয়া দুই শিক্ষার্থীর স্বজন ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পরদিন বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৩টার দিকে অপহৃত দিবসের মায়ের মোবাইলে কল করে দিবস ও ধ্রুবকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়। তাদের মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে অপহরণকারীরা ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। এসময় তারা র‌্যাব-পুলিশের কাছে না যাওয়ার হুমকি দেয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গেলে দুজনকেই হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেয়। অপহৃত শিক্ষার্থীদের একজন স্বজন জানান, অপহরণকারীরা ঘটনার তৃতীয় দিন মধ্যরাতে ফোন দিয়ে প্রথমে থানায় জিডি করার জন্য অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে। পরবর্তীতে অপহরণকারীরা অপহৃতদের সঙ্গে কথা বলিয়ে দিয়ে দ্রুত ৫০ লাখ টাকা যোগাড় করতে বলে। র‌্যাব-পুলিশের কাছে না গিয়ে ৫০ লাখ টাকা রেডি রাখতে বলে। দুই শিক্ষার্থী অপহরণের ঘটনা অনুসন্ধানকারী ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহাদাত হোসেন সুমা বলেন, ‘অপহরণকারীরা ঘন ঘন জায়গা পরিবর্তন করছে। অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত ও গ্রেফতার করে দুই ভিকটিমকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আমরা একাধিক অভিযান পরিচালনা করেছি।’