হামিদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ নিয়ে গুঞ্জন

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর সদর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নে হামিদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ইতোপূর্বে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে নিরাপত্তা কর্মী ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে লোক নিয়োগের আহ্বান করা হলেও তা স্থগিত করা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতির নিজস্ব লোক নিয়োগের জন্য নতুন করে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
যশোর সদরের ফতেপুর ইউনিয়নে হামিদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দফতরি ফজলুল হক বছরখানেক আগে মৃত্যুবরণ করেন। তার শূন্য স্থান পূরণে স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে লোক নিয়োগের আহ্বান করা হয়। গত বছরের ৩ নভেম্বর সংবাদপত্রে নিরাপত্তা কর্মী ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে লোক নিয়োগের জন্য গত ২৬ ডিসেম্বর পরীক্ষার স্থান যশোর জিলা স্কুলে নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই ওই পদে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৭ জানুয়ারি নিরাপত্তা কর্মী ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে ২ জন লোক নিয়োগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। নতুন করে নিয়োগের তারিখ নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ইসমাইল হোসেন তার নিজস্ব লোককে নিরাপত্তা কর্মী পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য তারিখ পরিবর্তন করে তার বিদ্যালয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেছেন।
সূত্র জানায়, সভাপতি সদর উপজেলা পাগলার বিলে কৃষক শাহ আলম সাইলাম হত্যা মামলার অভিযুক্ত চঞ্চলকে নিরাপত্তা কর্মী পদে নিয়োগ দিতে চান। আসামি চঞ্চলকে চার্জশিট থেকে বাদ দেয়ায় মামলার বাদী সাইলামের বাবা মোতাসিন খলিফা চার্জশিটের ওপর নারাজি আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ইসমাইল হোসেনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২ মার্চ। এ কারণে তিনি তারিখ পরিবর্তন করে ২৭ জানুয়ারি চঞ্চলকে নিরাপত্তা কর্মী পদে নিয়োগ দিতে চান।
এদিকে, ওই বিদ্যালয়ে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে মাস্টার রোলে চাকরি করছেন বাহারুল ইসলাম। তাকে নিয়োগ না দিয়ে নতুন নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়া ওই বিদ্যালয়ে কর্মরত এক নারী বাহারুন্নেছার বয়স বেশি হওয়ায় তিনিও অবসরে যাচ্ছেন। দফতরি পদের সাথে একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। এর আগে ওই দুই পদে নয় জন আবেদন করেছিলেন। তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫শ’ টাকা করে ব্যাংক ড্রাফট বাবদ নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ইসমাইল হোসেন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে লোকসমাজকে জানান, চঞ্চল বলে নয়, নিয়োগ পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হবেন তাদেরকেই নিয়োগ দেয়া হবে। ইত:পূর্বে যশোর জিলা স্কুলে ২৬ ডিসেম্বর নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়ে তিনি তাদের মতানৈক্যের কথা উল্লেখ করেন। তিনি আরও জানান, বিদ্যালয়ে সভাপতি পদে তার মেয়াদ আছে আগামী ২ মার্চ পর্যন্ত।
হামিদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইকবাল হোসেন বৃহস্পতিবার লোকসমাজকে জানান, আগে দফতরি পদ ছিল। এখন সেটা নিরাপত্তা কর্মী হয়েছে। তাদের বিদ্যালয়ে নিরাপত্তা কর্মী ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী এই দুই পদে ১৪ জন আবেদন করেছেন। এদের মধ্যে নিরাপত্তা কর্মী পদে ৮ জন ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে ৬ জন আবেদন জমা দিয়েছেন। আগামী ২৭ জানুয়ারি তাদের স্কুলে নিয়োগ পরীক্ষা হবে। এর আগে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়ে তিনি বলেন, নিয়োগ বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ২৬ ডিসেম্বর নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।