‘মাস্টারমাইন্ড’ টাক মিলনের কাছ থেকে সোহাগ হত্যার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে ডিবি পুলিশ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রিমান্ডে ‘মাস্টারমাইন্ড’ যশোর জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন ওরফে টাক মিলনের কাছ থেকে সোহাগ খুনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে ডিবি পুলিশ। তার দেয়া এসব তথ্য খতিয়ে দেখছে মামলার তদন্তকারী এই সংস্থা। এদিকে ২ দিনের রিমান্ড শেষ হওয়ায় ডিবি পুলিশ টাক মিলনকে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করেছে।
শহরের কাজীপাড়ার মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আওয়ামী লীগের এমপি গ্রুপের সমর্থক যুবলীগ কর্মী শরিফুল ইসলাম সোহাগ খুনের ঘটনায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বহুল আলোচিত টাক মিলনকে আটকের পর যশোর আদালতে সোপর্দ করেছিলো ডিবি পুলিশ। আদালতে তার ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছিলো। গত ১৯ জানুয়ারি রবিবার শুনানি শেষে আদালত তার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর গত ২১ জানুয়ারি ডিবি পুলিশ সোহাগ খুনের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে রিমান্ডে নেয়।  মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ওসি মারুফ আহম্মদ এ বিষয়ে বলেন, রিমান্ডে টাক মিলনকে তারা সোহাগ খুনের বিষয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এ সময় তারা তার কাছ থেকে খুনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য পেয়েছেন। যা তারা খতিয়ে দেখছেন। তিনি আরো জানান, রিমান্ড শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার টাক মিলনকে আদালতে সোপর্দ করেছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে আটক টাক মিলনের প্রাইভেটকারচালক লিটন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। জবানবন্দিতে বলেছিলেন, পুরাতন কসবা কাঁঠালতলায় নিজ অফিসে বসে সোহাগ খুনের পরিকল্পনা করেন টাক মিলন। পরে খুনের সময় তিনি (টাক মিলন) প্রাইভেটকারে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে জড়িত আকাশ নামে এক সন্ত্রাসী ২ মাস আগে ডিবি পুলিশের হাতে আটকের পর সেও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। তার জবানবন্দিতেও সোহাগ হত্যাকাণ্ডে জড়িত হিসেবে টাক মিলনের নাম প্রকাশ পায়। ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে কাজীপাড়ায় নিজ বাড়ির কাছে সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন যুবলীগ কর্মী সোহাগ।