মনিরামপুরে চাকরি দেয়ার প্রলোভনে ৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

0

স্টাফ রিপোর্টার, মনিরামপুর (যশোর) ॥ যশোরের মনিরামপুরে মেহেদী নামে এক যুবককে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সমুদয় টাকা ফেরতের জন্য বার বার তাগিদ দেয়া সত্ত্বেও মিজানুর কর্ণপাত করেননি। অভিযোগ রয়েছে, মিজানুর রহমান উল্টো ভুক্তভোগী মেহেদীর পিতার বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেছেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করতে মনিরামপুর থানা পুলিশের ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। ভুক্তভোগী মেহেদীর পিতা আসাদুজ্জামান জানান, মনিরামপুর উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের মুজগুন্নী গ্রামের মৃত সামাদ বিশ্বাসের ছেলে মিজানুর রহমান নিজেকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর বড় কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছিলেন। এ ছাড়া তিনি অনেক বেকারকে চাকরি দিয়েছেন বলে দাবি করতেন। এক পর্যায়ে তার ছেলে মেহেদীকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী পদে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৩ লাখ টাকা দাবি করেন তিনি। তার প্রলোভনে পড়ে ছেলেকে চাকুরি দেয়ার জন্য আসাদুজ্জামান নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে লেখাপড়ার মাধ্যমে ওই টাকা পরিশোধ করেন। অভিযোগ রয়েছে, মিজানুর রহমান নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও চাকুরি দিতে ব্যর্থ হন। ফলে মেহেদীর পিতা টাকার জন্য মিজানুরের কাছে বার বার তাগিদ দেন। কিন্তু তিনি টাকা পরিশোধ না করে টালবাহানা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিয়ে গত ১ জানুয়ারি শালিসি সভার আয়োজন করলে মিজানুর রহমান সমুদয় টাকা পরিশোধ করার অঙ্গীকার করেন। কিন্তু অদ্যাবধি তিনি টাকা পরিশোধ করেননি। বরং টাকা না দেয়ার জন্য মিজানুর রহমান ষড়যন্ত্রমূলকভাবে উল্টো আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ২২ ডিসেম্বর আদালতে একটি মামলা করেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মনিরামপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। এ ব্যাপারে মিজানুর রহমান জানান, চাকরি দেয়ার প্রলোভনে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সঠিক নয়। তিনি জানান, মেহেদীর পিতার কাছে থাকা তার স্ট্যাম্পটি উদ্ধারের জন্য এ মামলাটি করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মনিরামপুর থানার এসআই জহির রায়হান জানান, তদন্ত শেষে যথাসময়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।