ফুলতলায় সরকারি খাস জমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মান চলছেই

0

শামসুল আলম খোকন, ফুলতলা (খুলনা) ॥ খুলনার ফুলতলা বাজারে সরকারি নিয়মনীতি ও প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সরকারি খাস জমিতে ভবন নির্মাণের কাজ চলছেই। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা সত্ত্বেও রমেশ কুন্ডুর দখলকৃত খাস জমিতে ব্যবসায়ী শান্ত কুন্ডু ও বিপ্র কুন্ডু ভবন নির্মাণ করেন। এদিকে মৃত নিমাই কুন্ডুর পুত্র বিপুল কুন্ডু নতুন করে ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন।
ফুলতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ফুলতলা বাজারের তামাক পট্টিতে সরকারি খাস খতিয়ানে ১৮৯ নম্বর দাগে দক্ষিণডিহি গ্রামের রমেশ কুন্ডু ও নিমাই কুন্ডুর স্থাপনা রয়েছে। আদালত কর্তৃক ওই ভবনে সিলগালা করে দেয়া হয়। এর কিছুদিন পর রাতের আধারে তালা ও সিলগালা অপসারণ করে রমেশ কুন্ডু জর্দা ব্যবসায়ী সুবির দাসের কাছে ভাড়া দেন এবং বিপুল কুন্ডু নিজেদের দখলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে চালু করেন। সম্প্রতি রমেশ কুন্ডুর দখলকৃত খাস জমিতে শান্ত কুন্ডু ও বিপ্র কুন্ডু ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা ভূমি অফিস থেকে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে কিছু লোককে ম্যানেজ করে তারা রাতের আধারে পুনরায় ভবন নির্মাণ সম্পন্ন করেন। এ ব্যাপারে রমেশ কুন্ডুর পরিবারের পক্ষ থেকে আদালতের নিষেধাজ্ঞার কথা স্বীকার করে তাদের পক্ষে রায়ের কথা বলা হয়। যদিও সে সম্পর্কিত কোন কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। শান্ত কুন্ডু ও বিপ্র কুন্ডু ভবন নির্মাণের কথা স্বীকার করে বলেন, রমেশ কুন্ডু অসুস্থ থাকায় তার দখলকৃত জায়গায় ভাড়ার ভিত্তিতে ঘর করা হয়েছে। এদিকে নিমাই কুন্ডুর পুত্র বিপুল কুন্ডু সরকারি খাস খতিয়ানের একই দাগভুক্ত জমিতে নতুন করে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের পক্ষ থেকে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে গতকাল (বুধবার) পুনরায় কাজ শুরু করেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিপুল কুন্ডু ভবন নির্মাণের কথা অস্বীকার করে বলেন, পুরাতন ঘর ও ইটের গাদায় সাপের খোলস দেখা দেয়ায় সংস্কার ও পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। ভারপ্রাপ্ত ইউএনও এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুলী বিশ্বাস খাস জমিতে ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগের কথা স্বীকার করে বলেন, তদন্তের জন্য তহশিলদার ও সার্ভেয়ারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ফুলতলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী গাজী সাকিল আহম্মেদ খাস জমি দখল করে ভবন নির্মাণের কথা স্বীকার করে বলেন, বিভিন্ন সময়ে নির্মাণ কাজে বাধা দেয়া সত্ত্বেও অফিস ছুটিকালীন এবং রাতের আধারে গোপনে তারা নির্মাণ কাজ করেন। সহকারী কমিশনার কর্তৃক আদিষ্ট হয়ে প্রতিবেদন প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে।