ঠান্ডার বন্ধু খেজুর গুড়

0

এখন খেজুর গুড়ের মৌসুম। অনেকের কাছেই গুড় অনেক প্রিয়। গুড় দিয়ে অনেক পিঠাপুলি তৈরি করা হয়। এছাড়া গুড়ের আছে নানান ব্যবহার। তবে স্বাস্থ্য সুরক্ষায়ও গুড়ের ভূমিকা অনেক। যাঁরা অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়ায় ভোগেন তাঁদের জন্য আদর্শ গুড়। খাবার পরে একটুকরো গুড় খেলেই হজম নিমেষে হয়। গুড় কোষ্ঠকাঠিন্যও সারায় দ্রু।
সারা শীতে সুস্থ থাকতে চাইলে গুড় খেতেই হবে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কোয়াচ লুকি কৌটিনো জানান- রোজ খাবার শেষে একখণ্ড গুড় থাকলে সর্দি-কাশি-জ্বর পালাতে পথ পাবে না। শরীর গরম রাখবে। ফলে, রক্তসঞ্চালন দ্রুত হবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে।
গুড়ে আর কী কী উপকার পাওয়া যায়?
উচ্চ রক্তচাপ কমায়
রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকলে প্রেসার এমনিতেই নিয়ন্ত্রণে থাকে। সেই কাজটাই করে গুড়। তাই একটুকরো গুড় হাইপ্রেসারের রোগীদের জন্য খুবই ভালো। প্রেসার স্বাভাবিক গুড়ে
দ্রুত হজম
শেষপাতে গুড় মানেই দ্রুত হজম। শীতে অম্বল, বদহজম, গ্যাস থেকে মুক্তি পেতে চাইলে রোজ একটুকরো গুড় মাস্ট।
কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে
কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতেও সাহায্য করে গুড়। ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি পারগেটিভের কাজ করে।
লিভার সুস্থ রাখে
লিভার ভালো রাখতে সাহায্য করে গুড়। এর মধ্যে থাকা জিঙ্ক আর সেলেনিয়াম রক্তও পরিশ্রুত করে।তাই আয়ুর্বেদে গুড় দিয়ে কাঁচা হলুদ সকালে খালিপেটে খাওয়ার কথা বলা আছে।
ঠান্ডা কমাতে
সর্দি-কাশি-জ্বর কমাতে সিদ্ধহস্ত। ঈষদুষ্ণ জলে এক চা-চামচ গুড় মিশিয়ে খেলে সর্দি কমে ঝটপট। সর্দি-কাশি-জ্বর কমায় গুড়।
ফুসফুস পরিষ্কার করে
ফুসফুস পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে গুড়। যাঁরা অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়ায় ভোগেন তাঁদের জন্য আদর্শ গুড়।
রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়
গুড়ে থাকা আয়রন, জিঙ্ক, সেলেনিাম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস একযোগে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। রক্তাল্পতায় ভুগছেন যাঁরা তাঁরা রোজ গুড় খান। অ্যানিমিয়া কমে হিমোগ্লোবিন বাড়বে ওষুধ ছাড়াই।
বাতের ব্যাথা দূর করতে
শীতে বাতের ব্যথা বাড়ে। সাদা তিলের নাড়ু বানাতে পারেন গুড় দিয়ে। অল্প ঘি মাখিয়ে রোজ খেলে ব্যথা অনেকটাই কমবে।
ঋতুস্রাবের ব্যথা কমাতে তিল বীজের সঙ্গে এক চা-চামচ গুড় মিশিয়ে খেয়ে দেখতে পারেন।
সাবধানতা
ডায়াবেটিসের রোগী ভুলেও গুড় খাবেন না। এতে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট থকে। তাই বেশি পরিমাণে খেলে ওবেসিটি বাড়বে।