৭২ ঘণ্টার মধ্যে আতিকুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ

0

লোকসমাজ ডেস্ক ॥ আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ নির্দেশ দেন ঢাকা উত্তর সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম। আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে দু’টি অভিযোগের দায়ে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন তিনি। ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মহুয়া আফরোজ এবং ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদি মেহেদি মুর্শিদকে এই নির্দেশ দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
রোববার নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উত্তর সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তাকে চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আতিকুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিলেন তিনি। আবুল কাসেম জানান, আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আজকে ইসির নির্দেশ পেয়েছি। সারাদিন ব্যস্ত ছিলাম। তাই এখন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছি। এই সিটির বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে ইসি। ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশে বলা হয়েছে, ‘‘বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের ‘নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে আমার নির্বাচনী প্রচারণারত মাইক্রোফোন ভাঙচুর’ এবং ‘নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর আচরণবিধি লঙ্ঘন’ বিষয়ক গত ১৩ জানুয়ারি দাখিল করা আবেদনের বিষয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হলো।’’
বিধিতে শাস্তির বিষয়ে যা আছে : সিটি করপোরেশন নির্বাচন আচরণ বিধিমালার ৩১ নম্বর ধারার ১ উপ-ধারায় বলা আছে, ‘কোনো প্রার্থী বা তাহার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচন-পূর্ব সময়ে এ বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে অনধিক ছয় মাস কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডণীয় হবেন।’ ২ উপ-ধারায় বলা আছে, ‘কোনো রাজনৈতিক দল অথবা কোনো প্রার্থীর পক্ষে কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন-পূর্ব সময়ে এ বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডণীয় হবেন।’ ৩২ নম্বর ধারার ১ উপ-ধারায় বলা হয়েছে, ‘এ বিধিমালার অন্যান্য বিধানে যা কিছুই থাকুক না কেন, যদি কোনো উৎস হতে প্রাপ্ত রেকর্ড কিংবা লিখিত রিপোর্ট হতে কমিশনের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, মেয়র বা কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্রার্থী বা তার নির্বাচনী এজেন্ট এ বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করেছেন বা লঙ্ঘনের চেষ্টা করেছেন এবং অনুরূপ লঙ্ঘন বা লঙ্ঘনের চেষ্টার জন্য তিনি মেয়র, বা ক্ষেত্রমত, কাউন্সিলর নির্বাচিত হবার অযোগ্য হতে পারেন, তা হলে কমিশন বিষয়টি সম্পর্কে তাৎক্ষণিক তদন্তের নির্দেশ প্রদান করতে পারবে।’