নতুন উদ্যোক্তাদের সহায়তা করতে ‘স্টার্ট আপ যশোর’র যাত্রা শুরু

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘শুধু প্রযুক্তি জ্ঞান থাকলেই উদ্যোক্তা হওয়া যায় না। এর জন্যে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে যশোরের শেখ হাসিনা আইটি পার্ক স্থাপনের সময়ে ‘ইন্টারপ্রিনিউওর ইউনিভারসিটি’ প্রতিষ্ঠার জন্যে পার্কের সাথেই জায়গা অধিগ্রহণ করে রাখা আছে। এখন এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কার্যক্রম এগিয়ে নিতে হবে। বাংলাদেশে এই ধরনের কোন বিশ্ববিদ্যালয় নেই। এছাড়া ‘ডিজাইন ইউনিভার্সিটি’ নামে আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা এখন খুবই দরকার।’
নতুন উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তিগত পরামর্শ দেওয়ার জন্যে প্রতিষ্ঠিত ‘স্টার্ট আপ যশোর’ নামে একটি সংগঠনের পরিচিতি সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান প্রধান অতিথির বক্তব্যে শনিবার দুপুরে এসব কথা বলেন। যশোরের শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠান হয়। নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ‘চাকরি’ ফোকাস করা হয়েছে। কিন্তু এখন এই শিক্ষা ব্যবস্থা ১৮০ ডিগ্রি বদলে উদ্যোক্তা সৃষ্টির দিকে ঘোরাতে হবে। কারণ, সরকারি-বেসরকরি মিলিয়ে বছরে ১০ লাখের বেশি মানুষের চাকরি দেওয়ার সুযোগ নেই। সেখানে শুধু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্যে বছরে ৩৫ থেকে ৪০ লাখ চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেন। সবাই যদি চাকরির পেছনে দৌড়ায় তাহলে দেশ ভয়াবহ সংকটে পড়বে। এজন্য আমাদের মধ্যে ‘চাকরি করবো না, চাকরি দিবো’ মানসিকতা সৃষ্টি করতে হবে।’ প্রধান অতিথি নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘চাকরি করে বুঝতে পেরেছি, কোথায় কোথায় সমস্যা আছে। এজন্য এখন চাকরি না করে সবাইকে উদ্যোক্তা হতে বলছি। উদ্যোক্তা হওয়ার জন্যে ইংরেজি ও তথ্য প্রযুক্তি (আইটি) বিষয়ে জ্ঞান থাকতেই হবে-এমনটা ঠিক নয়, সুন্দর করে কথা বলতে পারলেই উদ্যোক্তা হওয়া যায়।’
একটি আইডিয়া, একটি প্রতিষ্ঠান-এই স্লোগানে ‘স্টার্ট আপ যশোর’ নামে তরুণ উদ্যোক্তাদের সহযোগিতার জন্যে অলাভজনক এই সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়েছে। সংগঠনের আনুষ্ঠানিক পরিচিতি সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আনোয়ার হোসেন। আলোচনা করেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বাঁচতে শেখা’র নির্বাহী পরিচালক আঞ্জেলা গোমেজ, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাজেদ রহমান প্রমুখ। তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্যে ‘স্টার্ট আপ যশোর’ সংগঠনটি কি ধরনের সহায়তা দিবে সে বিষয়ে মূল ধারণা উপস্থাপন করেন সংগঠনের আহ্বায়ক ও মাইক্রোড্রিম আইটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহানূর মো. শরীফ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রথম আলো যশোর প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম ও ¯œাতক পর্বে শিক্ষার্থী তাসনিন সুলতানা। অনুষ্ঠানে আইটি পার্কের সফল তরুণ উদ্যোক্তাদের মধ্যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের পাঁচজন তাদের এগিয়ে যাওয়ার গল্প শোনান। এ পর্বে বক্তব্য রাখেন কেনারহাট’র নাহিদুল ইসলাম, মাই লাইট হোস্টের রকিবুর রহমান, হাসনাত ইন্টারন্যাশনালের এএইচএম আরিফুল হাসনাত, ভিক্স আইটির ভিক্টর সাহা ও সফট এক্স’র মেহেদী হাসান। অনুষ্ঠানে নতুন উদ্যোক্তা, বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্বদ্যিালয়ের ¯œাতক পর্বের ৩৫০ জন অংশ নেন।