পাহারা দিয়েও পেঁয়াজ ক্ষেতে রক্ষা করতে পারছেন না সাতক্ষীরার কৃষক

0

সাতক্ষীরা সংবাদদাতা॥ পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন থাকায় সাতক্ষীরার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের ক্ষেতে থেকে পেঁয়াজ চুরির হিড়িক পড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ চুরির ঘটনা ঘটছে কলারোয়া উপজেলায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে পেঁয়াজ চুরি ঠেকাতে সামাজিক প্রতিরোধের বিকল্প নেই। চুরি ঠেকাতে কলারোয়া উপজেলার দিগং গ্রামের কৃষকরা পেঁয়াজের মাঠ পাহারা দিচ্ছেন। প্রতি রাতেই পেঁয়াজ চুরির ঘটনা ঘটছে। তবে চোর শনাক্ত করা যাচ্ছে না। পেঁয়াজ চুরি ঠেকাতে রাতে েেত পাহারা দিচ্ছেন দিগং গ্রামের আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, এলাকায় তে থেকে পেঁয়াজ চুরির হিড়িক পড়েছে। পুরো ফসলি মাঠ রাত জেগে সব কৃষকের পে পাহারা দেয়া সম্ভব হয় না। একদিকে কৃষকরা পাহারা দিলে আরেকদিকে পেঁয়াজ চুরি করে চোরেরা। প্রতি রাতেই ঘটছে এমন ঘটনা।
কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রামপুলিশ এজাহার আলী বলেন, গ্রামপুলিশকে সবাই সমীহ করে। কিন্তু গ্রামপুলিশ হয়েও আমার পেঁয়াজ তে রেহাই দেয়নি চোরেরা। েেতর সব পেঁয়াজ চুরি করে নিয়ে গেছে তারা। রাত জেগে পাহারা দিয়েও রা করতে পারিনি আমার পেঁয়াজ তে। অন্যরা এখন পেঁয়াজ তে পাহারা দিচ্ছে। এমন ঘটনা আমি এর আগে দেখিনি। চুরির কারণে অনেক কৃষক অপরিপক্ক পেঁয়াজ তুলে বিক্রি করে দিচ্ছেন। স্থানীয় পেঁয়াজ চাষি আবুল হোসেন বলেন, দাম বেড়ে যাওয়ার পর পেঁয়াজের বীজেরও দাম বেড়ে যায়। বেশি টাকা খরচে পেঁয়াজ চাষ করে এখন বিপাকে পড়েছি আমরা। কোনোভাবেই পেঁয়াজ চুরি ঠেকাতে পারছি না। চুরি ঠেকাতে প্রশাসনের সহযোগিতা প্রয়োজন আমাদের। পেঁয়াজ চুরি ঠেকানোর বিষয়ে সাতীরা পুলিশ প্রশাসনের বিশেষ শাখার সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন স্থানে তে থেকে পেঁয়াজ চুরির ঘটনা শুনেছি। চুরি ঠেকাতে সম্মিলিত প্রতিরোধের উদ্যোগ নেয়া হবে। এছাড়া সামাজিকভাবে প্রতিরোধের বিকল্প নেই। তবে চোরদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।