চার মাসেও পেঁয়াজের বাজারে স্থিতিশীলতা আসলো না

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পেঁয়াজের বাজার গত চার মাসেও স্থির হয়নি। দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসার পর দাম খানিকটা কমে এসেছিল। কিন্তু চাহিদা পূরণ করতে না পারায় বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। তাছাড়া একাধিক দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির পরও বাজার মোটেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। গত ১০ দিন আগেও যশোরের বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। আবারও বাজার অশান্ত হয়ে গতকাল শুক্রবার ১২০/১৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। গত সেপ্টেম্বরে ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়ার পর থেকে দেশের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। বাজার স্বাভাবিক রাখার জন্য সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার অনুমতি দেয়। পর্যায়ক্রমে মিয়ানমার, চীন, মিশর, পাকিস্তান ও ইউরোপ থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়ে আসার পরও বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে। ্এরই মধ্যে দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে উঠলে দাম কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে আসে ণিকের জন্যে।
গত ১০ দিন আগেও যশোরের বড় বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু দেশি এই পেঁয়াজও বাজারে ঠিকমত চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। বাজারে সরবরাহে সামান্য একটু ঘাটতি হলেই দাম বাড়তে সময় লাগছে না। গত সপ্তাহেও মুড়িকাটা পেঁয়াজের কেজি ১৮০ টাকায় উঠে গিয়েছিল। অবশ্য গতকাল শুক্রবার বড় বাজারে প্রতি কেজি মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। অবশ্য মেহেরপুরের লাল রঙের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে, আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬ থেকে ৭০ টাকায়।
এদিকে ভরা মৌসুমেও শীতের সবজির দাম তেমন একটা কমেনি। বাজারে মটরশুঁটি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৬০-৭০ টাকা দরে, শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা, পটল ৫০-৬০ টাকা, টমেটো ৪০-৫০ টাকা, গাজর ৩০-৩৫ টাকা, ওলকপি ৩০-৩৫ টাকা, মিচুড়ি ৪০ টাকা, কুমড়ো ৩৫-৪০ টাকা, উচ্ছে ১১০-১২০ টাকা, শিম ২৫-৩০ টাকা, ফুলকপি ২৫-৩০ টাকা, বাঁধাকপি ১৫-২০ টাকা, মুলা ১৫-২০ টাকা, বেগুন ২৫-৩০ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকা, কাঁচকলা ২০-২৫ টাকা, লাউ প্রতিটি ৩৫-৪০ টাকা।
মাছ বাজারে ইলিশের সরবরাহ আগের থেকে কিছুটা বেড়েছে। শুক্রবার এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১০০০ টাকা, ৭৫০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৭০০-৭৫০ টাকা আর ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হয়েছে ৮০০ টাকায়। অন্যান্য মাছ যেমন এক কেজির কিছু ওপরে ওজন দেশি রুই মাছের কেজি বিক্রি হয়েছে ২৫০ টাকা, এক কেজির ওপরে কাতলা বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২১০-২২০ টাকা, ৬ পিস গলদা চিংড়ি মাছের কেজি ১০০০ টাকা, ১৬-১৭ পিস গলদা চিংড়ি ৭০০ টাকা, ২-৩ পিস নাইলোটিকা মাছের কেজি ১২০ টাকা। মুরগির বাজার বেশ কিছুদিন ধরে স্থিতিশীল রয়েছে। গতকাল বড় বাজারে খামারের ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা দরে, লেয়ার মুরগি ২০০ টাকা, সোনালী মুরগি ২১০ টাকা ও দেশি মুরগি ৩৮০ টাকা। গরু ও খাসির মাংসের দামও অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৫২০ টাকা, খাসির মাংসের কেজি ৭৪০ টাকা ও বকরির মাংস ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা।