যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নামেই ডেল্টাল বিভাগ !

0

বিএম আসাদ॥ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও উপকরণের অভাবে যশের ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডেন্টাল বিভাগ চিকিৎসা মিলছে না। রোগীরা মানসম্মত চিকিৎসা না পেয়ে চলে যাচ্ছে কিনিকে। বর্তমানে হাসপাতালের ডেন্টাল বিভাগটি চলছে খুড়িয়ে খুড়িয়ে। সার্জারি, গাইনি, মেডিসিনসহ অন্যান্য বিভাগের মতো প্রতিদিন সেখানে প্রচুর রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। কিন্তু যন্ত্রপাতির অভাবে তারা যথাযথ চিকিৎসা পান না। দাঁতের চিকিৎসার জন্য যে যন্ত্রপাতি আছে তার বেশিরভাগ খারাপ ও নিম্নমানের। যা দিয়ে চিকিৎসগণ যথাযথভাবে কাজ করতে পারেন না। রোগী হাসপাতাল থেকে পাঠিয়ে দেন প্রাইভেট কিনিকে। এ সুযোগে কিনিক ব্যবসা জমে উঠেছে যশোরে। হাসপাতালের ডেন্টাল বিভাগে রয়েছে ৩টি ডেন্টাল চেয়ার। দাঁতের রোগীদের চিকিৎসা দিতে হলে প্রথম দরকার ডেন্টাল চেয়ারের। ৩টি চেয়ারের ভেতর একটিও শতভাগ ভাল নেই। যেটি সচল আছে তার হেডলাইট ভাঙা। চেয়ারে রোগী বসিয়ে চিকিৎসা দিতে গেলেই লাইটটি ঘুরে অন্য দিকে চলে যায়। ফলে লাইট দিয়ে কাজ করতে পারেন না চিকিৎসক। এক বছর আগে ওই ডেন্টাল চেয়ারটি দেয়া হয়েছে। চিকিৎসকদের প্রাইভেট চিকিৎসা সচল রাখার জন্যে ইচ্ছাকৃতভাবে চেয়ারগুলো অকেজো করে রাখা হয়েছে বলে প্রচার রয়েছে।
জানা গেছে, ডেন্টাল চেয়ার এদিক-ওদিক করতে গেলে লাগে কমপ্রেসার মেশিন। প্রত্যেক ডেন্টাল চেয়ারের সাথে একটি করে কম্প্রেসার মেশিন থাকে। কিন্তু হাসপাতালের ডেন্টাল বিভাগে কম্প্রেসার মেশিনের সংখ্যা একটি। এতে একটি চেয়ার চালানো যায়। অপর দু’টি চেয়ার সচল করতে প্রয়োজন দু’টি কম্প্রেসার মেশিন। কিন্তু নেই ডেন্টাল বিভাগে। এখানেই শেষ নয়। প্রতিদিন ৪০/৫০ জন দাঁতের রোগী আসেন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে। কিন্তু তারা মানসম্মত চিকিৎসা পান না। কারণ, দাঁত তোলার জন্যে ফরসেফ, বিপি ব্লেড, বিপি হ্যান্ডেল, অলটাইম এলিভেটর, অটোকেভ মেশিন, সাকার মেশিনসহ অলইনস্টুমেন্ড এন্ড ইকুইভমেন্ট নেই ডেন্টাল বিভাগে। দু’একটি এলিভেটর থাকলেও নিম্নমানের। যা দিয়ে কাজ করা যায় না। এ বিষয়ে কথা হয় হাসপাতালের সহকারী ডেন্টাল সার্জন ডা. সাবিহা তানজীমের সাথে। তিনি বলেন, ডেন্টাল বিভাগে যে যন্ত্রপাতি আছে তা চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত এবং সচল নয়। বাধ্য হয়ে রোগী ফেরত দিতে হয়। তারা বাইরের কিনিকে গিয়ে কিংবা অন্য কোথাও চিকিৎসা নেন। যন্ত্রপাতি চেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে তালিকা দেয়া আছে। যে সব যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে তাই দিয়ে কোন রকম কাজ চলছে। এ বিভাগে চিকিৎসক সংখ্যা দু’জন। অপরজন ডেন্টাল সার্জন ডা. মো. শামীম আহমেদ। তিনি বলেন, ডেন্টাল বিভাগ কোন রকম চলছে।