বিএসপিএ’র বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদের তালিকায় সাকিব-রোমান-জামাল
স্পোর্টস ডেস্ক ॥ ২০১৯ বিশ্বকাপে অবিশ্বাস্য নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছেন সাকিব আল হাসান। অন্যদিকে পুরো বছর জুড়েই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দারুণ সব কীর্তি গড়েছেন আর্চার রোমান সানা। মাঠে দারুণ ফুটবল শৈলীতে জামাল ভূঁইয়া হয়ে উঠেছেন খেলাটায় দেশের সেরা বিজ্ঞাপন। ২০১৯ সাল জুড়ে পারফরম্যান্সে দ্যুতি ছড়িয়ে এই তিন ক্রীড়াবিদ এবার ওঠে এসেছেন বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতির (বিএসপিএ) বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদের সংপ্তি তালিকায়।
ক্রীড়া সাংবাদিকদের সংগঠন- বিএসপিএ প্রতি বছরের ধারাবাহিকতায় আয়োজন করতে যাচ্ছে স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের। ২৪ জানুয়ারি রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে বসবে ক্রীড়াঙ্গনে অন্যতম আকর্ষণীয় এই আসর- ‘কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড ২০১৯’। এ বছর ১৫টি বিভাগে সর্বমোট ১৬জন বর্তমান ও সাবেক ক্রীড়াবিদ, সংগঠক এবং পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হবে।
সাকিব, রোমান ও জামাল বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদের সংপ্তি তালিকার সঙ্গে ‘পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড’ ক্যাটাগরিতে স্থান করে নিয়েছেন। এই ক্যাটাগরিতে তাদের সঙ্গে রয়েছেন আরো তিন ক্রীড়াবিদ- কারাতেকা মারজান আক্তার প্রিয়া, ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত ও ফেন্সিং খেলোয়াড় ফাতেমা মুজিব। অনলাইন ভোটিংয়ের মাধ্যমে এই ছয়জনের মধ্যে থেকে নির্বাচিত হবেন একজন। ১০-২০ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত বিএসপিএ’র অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে (িি.িনংঢ়ধ.পড়স.নফ) চলবে অনলাইন ভোটিং। বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ ও পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার জয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে অনুষ্ঠানের দিন। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের তৃতীয়তলার সম্মেলন কে বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড উপলে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন বিএসপিএ সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত আহমদ আনন্দ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএসপিএ সভাপতি মোস্তফা মামুন, পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের সিনিয়র ম্যানেজার, মার্কেটিং জনাব ফজল মাহমুদ রনি, কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান মো. হাসান উল্লাহ খান রানা, খেলোয়াড় যাচাই-বাছাই উপ-কমিটির সভাপতি তালহা বিন নজরুল।
এক নজরে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মনোনীতদের নাম
১. বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ ২০১৯ (মনোনীত) : সাকিব আল হাসান (ক্রিকেট), রোমান সানা (আর্চারি), জামাল ভূঁইয়া (ফুটবল)
২. পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ : সাকিব আল হাসান (ক্রিকেট), রোমান সানা (আর্চারি). জামাল ভূঁইয়া (ফুটবল), মারজান আক্তার প্রিয়া (কারাতে), মাবিয়া আক্তার সীমান্ত (ভারোত্তলন), ফাতেমা মুজিব (ফেন্সিং)
৩. বর্ষসেরা ক্রিকেটার ২০১৯ : সাকিব আল হাসান
৪. বর্ষসেরা ফুটবলার ২০১৯ : জামাল ভূঁইয়া
৫. বর্ষসেরা ভারোত্তোলক ২০১৯ : মাবিয়া আক্তার সীমান্ত
৬. বর্ষসেরা আর্চার ২০১৯ : রামান সানা
৭. বর্ষসেরা কোচ ২০১৯ : মার্টিন ফ্রেডরিখ (কোচ, জাতীয় আর্চারি দল)
৮. বর্ষসেরা কারাতে খেলোয়াড় ২০১৯ : হোমায়রা আক্তার অন্তরা
৯. বর্ষসেরা তায়কোয়ান্দো খেলোয়াড় ২০১৯ : দীপু চাকমা
১০. বর্ষসেরা ফেন্সিং খেলোয়াড় ২০১৯ : ফাতেমা মুজিব
১১. উদীয়মান ক্রীড়াবিদ ২০১৯ : ইতি খাতুন (আর্চার)
১২. তৃণমূলের ক্রীড়াব্যক্তিত্ব ২০১৯ : রফিকউল্ল্যাহ আখতার মিলন (অ্যাথলেটিক কোচ এবং সংগঠন, নোয়াখালী), তাজুল ইসলাম (ফুটবল কোচ, ঠাকুরগাঁও)
১৩. বিশেষ সম্মাননা ২০১৯ : আব্দুল জলিল (সাবেক কাবাডি খেলোয়াড় ও কোচ)
১৪. বর্ষসেরা সংগঠক ২০১৯ : কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপল (সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আরচারি ফেডারেশন)
১৫. বর্ষসেরা পৃষ্ঠপোষক ২০১৯ :সিটি গ্রুপ
লিটনের ফিফটিতে গেইলদের ল্য ১৬৭ /২
স্পোর্টস ডেস্ক ॥ ক্রিস গেইল ঢাকায় এসেছেন সোমবার। কথা অনুযায়ী চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে মঙ্গলবার মাঠেও নেমে পড়লেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল এই ব্যাটসম্যান। মাহমুদউল্লাহ-গেইলদের বিপে টস হেরে আগে ব্যাটিং পেল রাজশাহী রয়্যালস। লিটন দাসের ফিফটিতে দলটি নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে গড়ল ১৬৬ রানের পুঁজি। ওপেনার লিটন খেলেছেন সর্বোচ্চ ৫৬ রানের ইনিংস। ৪৫ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি। আসরে এটি তার দ্বিতীয় ফিফটি। লিটন বাদে রাজশাহীর অন্য কারো ইনিংস এদিন তেমন বড় হয়নি। বরং খানিটা সময় বেশ ভুগেছে দলটা। আন্দ্রে রাসেল ঝড় তোলার আভাস দিয়েও ১০ বলে ২০ রান করে ফেরেন ১ চার ও ২ ছক্কায়। শোয়েব মালিক ২৪ বলে ২৮ রান করলেও ইনিংসটি ছিল কার্যকরী। তবে রাজশাহীর পুঁজিটা বড় করতে অবদান ফরহাদ রেজার শেষের ঝড়ের। শেষ বলে রান আউটে কাটা পড়ার আগে ৮ বলে ২১ রান করেন তিনি ১ চার ও ২ ছক্কায়। চট্টগ্রামের পে সর্বাধিক ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন রুবেল হোসেন ও জিয়াউর রহমান। রাজশাহী ও চট্টগ্রাম দুই দলই নিশ্চিত করে ফেলেছে শেষ চার। এখন শীর্ষ দুইয়ে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখার মিশন তাদের। শীর্ষ দুইয়ে থাকা দল ফাইনালে যাওয়ার পথে একবার হারলেও আরেকটি কোয়ালিফায়ার খেলার সুযোগ পাবে।
মাবিয়া-শীলাদের সাড়ে ২০ লাখ টাকা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
স্পোর্টস ডেস্ক ॥ ২০১৬ শিলং-গৌহাটি এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী তিন ক্রীড়াবিদের আবাসনের দায়িত্ব নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গেল বছর অক্টোবরেই সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শীলা, ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত ও শুটার শাকিল আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার ফ্যাটের কাজপত্র বুঝে পেয়েছেন। এবার ফ্যাট বুঝে পাওয়ার আগ পর্যন্ত এই তিন ক্রীড়াবিদ যে ভাড়া বাসায় থাকতেন, সেই টাকাও প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার সন্ধ্যায় গণভবনে তিন ক্রীড়াবিদের হাতে মোট ২০ লাখ ৪০ হাজার টাকা তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। শুটার শাকিলকে ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং ভারোত্তোলক মাবিয়া ও সাঁতারু শীলাকে ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা করে প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এবং যুব ও ক্রীড়া সচিব আকতার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। বাসা ভাড়া বাবদ টাকা বুঝে পেয়ে দেশ সেরা তিন ক্রীড়াবিদ প্রধানমন্ত্রী ও যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
সৌম্য-মালানে বেঁচে থাকল কুমিল্লার আশা
স্পোর্টস ডেস্ক ॥ বিপিএলে সিলেট থান্ডার দলটা ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছিল আগেই। বলতে গেলে বিপিএলের মাঝ পথেই আসর থেকে ছিটকে যাওয়া একরকম নিশ্চিত হয়ে যায় তাদের। মঙ্গলবার কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলতে নেমেও স্মরণীয় কোনো কিছুর ছাপ রাখতে পারল না দলটা। সিলেটকে সব মিলে ১১তম হারের স্বাদ দিল কুমিল্লা। আর এই জয়ে প্লে-অফ খেলার আশা বেঁচে থাকল সৌম্য সরকারদের।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে এদিন ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় কুমিল্লা। ১৪২ রানের ছোট্ট ল্য তাড়া করতে নেমে কুমিল্লা একপর্যায়ে বেশ চাপেই পড়ে যায়। ১০ ওভারে ৩ উইকেটে হারিয়ে মাত্র ৪৭ রান তুললে পেরেছিল দলটা। সেখান থেকে ডেভিড মালান ও সৌম্য সরকারের ফিফটিতে কুমিল্লার জয় নিশ্চিত হয়। অধিনায়ক মালান সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন। সৌম্য অপরাজিত থেকে যান ৫৩ রানে। ১০ ম্যাচে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট কুমিল্লার। আরো দুই ম্যাচ বাকি তাদের। শেষ চার নিশ্চিত করতে অবশ্য তাদের শুধু নিজেদের ম্যাচ নয়, তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যদের দিকেও। কারণ তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে ঢাকা প্লাটুনের পয়েন্ট ১২। ওদিকে খুলনার এক ম্যাচ কম খেলে কুমিল্লার সমান পয়েন্ট। এরই মধ্যে রাজশাহী ও চট্টগ্রাম শেষ চার নিশ্চিত করে ফেলেছে। বাকি দুই দলের জন্য এখন অন্যদের জমাট লড়াই। আর সিলেট ১২ ম্যাচে ১ জয়ে মাত্র ২ পয়েন্ট নিয়ে আসর শেষ করল। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে সিলেট পারেনি নিজেদের স্কোরটা বড় করতে। যে জন্য দায়ী অবশ্যই আন্দ্রে ফেচার, আব্দুল মজিদের ধীর শুরু। নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেটে ১৪১ রানের বেশি সংগ্রহ পায়নি সিলেট। ৪০ বল খেলে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন ওপেনার আব্দুল মজিদ। অন্যদের মধ্যে জনসন চার্লস ২৬, জিভান মেন্ডিস ২৩, ফেচার ২২, মিঠুন ১৮ রান করেন। কুমিল্লার বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট নেন আল-আমিন হোসেন ও ডেভিড উইজ। কিন্তু সহজ ল্য তাড়া করতে নেমেও কুমিল্লা বিপাকে পড়ল। দুই ওপেনার উপুল থারাঙ্গা (৪) ও ফারদিন হাসান ব্যর্থ (১)। তিন নম্বরে মালান উইকেটে এলেও ধীর গতিতে এগোচ্ছিলেন। অষ্টম ওভারে দলীয় ৩২ রানে মহিদুল ইসলাম অঙ্কনও (১১) বিদায় নেন। চাপটা তাতে বাড়ে আরো। সেখান থেকে চতুর্থ উইকেটে মালান ও সৌম্যর ৭২ রানে জুটি হলো। ধীরে ধীরে চাপ কাটিয়ে কুমিল্লাও হাঁটল জয়ের পথে। ইবাদতের শিকার হয়ে ফেরার আগে মালান ৪৯ বলে নিজের ইনিংসটি সাজান ২টি করে চার ও ছক্কায়। মালানের বিদায়ের পর ডেভিড উইসে ফিরেছিলেন ব্যক্তিগত ১৩ রানে। তবে ততণে সৌম্যর ব্যাট জ্বলে উঠেছে। কুমিল্লাকে তাই আর ভাবতে হয়নি। সৌম্য নিজের ইনিংস সাজান ৩০ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায়। ম্যাচসেরা হয়েছেন মালান।
ফিলিস্তিন ম্যাচ দিয়ে শুরু বাংলাদেশের
স্পোর্টস ডেস্ক ॥ বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপের শুরুতেই কঠিন পরীার মুখে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিনের বিপে খেলবে জেমি ডের দল। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের মঙ্গলবার দেওয়া সূচি অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আগামী ১৫ জানুয়ারি শুরু হবে প্রতিযোগিতাটির ষষ্ঠ আসর। ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের আরেক প্রতিপ শ্রীলঙ্কা; তাদের বিপে ম্যাচ ১৯ জানুয়ারি। ‘বি’ গ্রুপের দল মরিশাস, বুরুন্ডি ও সিশেলস। ২২ ও ২৩ জানুয়ারি হবে দুই সেমি-ফাইনাল। ২৫ জানুয়ারি ফাইনাল।





