ব্যবসায়ীরা যা ইচ্ছা তাই করছে

0

লোকসমাজ ডেস্ক ॥ ভরা মৌসুমে পেঁয়াজের দাম আবারও বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ব্যবসায়ীরা যা ইচ্ছা তাই করছে। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) পঞ্চম সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সবকিছু সঠিক পথে আনতে হবে। ক’দিন আগে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। মাঝে কমেছে, আবার বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা কী, এটা আমি বুঝি না, যা ইচ্ছা তাই করে যাচ্ছে। এটা তো হতে পারে না।’ খবর বাসস ও বিডিনিউজের।
শিক্ষার্থীদের এ অবস্থা উত্তরণে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, ‘এখানেও মনে হয় তোমাদের ভূমিকা থাকতে পারে। ছাত্ররা ইচ্ছা করলে কী না পারে! ছাত্ররা যদি মনে করে, বাংলাদেশে ডিসিপ্লিন আসবে, তাহলে মনে হয় পারবে।’ কর্মভিত্তিক শিক্ষার প্রতি জোর দিয়ে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য আবদুল হামিদ বলেন, ‘প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকার জন্য নিজেদের আরও যোগ্য করে তৈরির গুরুত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই জ্ঞান-বিজ্ঞানের সব ক্ষেত্রে বিশ্ব প্রতিদ্বন্দ্বিতা মোকাবিলায় আমাদের শিক্ষার্থীদের পেশাভিত্তিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। শ্রমবাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শিক্ষা কার্যক্রম প্রণয়ন করতে হবে। এ যুগে চাহিদা ও কর্মভিত্তিক শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, মানসম্মত শিক্ষা গভীর দেশপ্রেম, অসাম্প্রদায়িক জীবনযাত্রা, অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং বুদ্ধিবৃত্তির উন্নয়নে সহায়তা করে। সমাবর্তনে ৩৪ শিক্ষার্থীকে শিক্ষাজীবনে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য স্বর্ণপদক দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বিইউপির উপাচার্য মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও তিন বাহিনীর প্রধানগণ। জনগণের জন্য কাজ করুন- পুলিশের প্রতি রাষ্ট্রপতি :রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, পুলিশ জনগণের। পুলিশকে জনগণের জন্যই কাজ করতে হবে। রাষ্ট্রপতি পুলিশ সপ্তাহ-২০২০ উপলক্ষে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘পুলিশ হচ্ছে জনগণের জন্য, সুতরাং তাদের জন্য কাজ করুন।’ রাষ্ট্রপতি মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনা নিয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে পুলিশ সদস্যদের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, মানুষ পুলিশের কাছে যায় সহায়তা চাইতে। হয়রানি ছাড়াই জনগণের সেবা নিশ্চিত করুন এবং সেবাপ্রত্যাশীদের জন্য প্রতিকারের ব্যবস্থা করুন। তাহলেই মানুষ পুলিশকে তাদের বন্ধু ভাবতে পারবে। তিনি আরও বলেন, অপরাধ মোকাবিলায় জনগণের সমর্থনও অপরিহার্য। পুলিশকে দেশের গৌরবময় প্রতিষ্ঠান অভিহিত করে রাষ্ট্রপতি মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের অসামান্য অবদানের কথা উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রপতি পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন এবং নৈশভোজে যোগদান করেন। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক, সংসদ সদস্য, মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, রাষ্ট্রপতির সংশ্নিষ্ট সচিব এবং ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।