বৃষ্টি থেমেছে, এবার শৈত্যপ্রবাহ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি শেষে শীত জেঁকে বসতে শুরু করেছে যশোরে। শনিবার বিকেল থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকে। আজ রোববার দিন ও রাতের তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি কমে যাওয়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। যশোর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মতিউর রহমান বিমান ঘাটির আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানাগেছে, শনিবার যশোরে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার বিকেল পর্যন্ত আকাশ মেঘলা থাকায় তাপমাত্রা স্বাভাবিক পর্যায় থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকে। আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানান, শনিবার দিবাগত রাতে আকাশের পুরোপুরি মেঘলা ভাব কেটে যাবে। রাতের শেষ দিকে শীত অনুভূত হবে বেশি। তিনি বলেন, রোববার তাপমাত্রা বর্তমানের চেয়ে দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কমার আশঙ্কা করা হচ্ছে। যা পর্যায়ক্রমে কমে আগামী ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসতে পারে। তাপমাত্রার কমার পাশাপাশি উত্তুরে হাওয়া বেড়ে যাবে। এর ফলে কনকনে ঠান্ডায় মানুষকে ভোগানিন্ত পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিসের সূত্রে জানাগেছে, রোব বা সোমবার থেকে এ অঞ্চলে আরেকটি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হবে। তবে এটি হালকা শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে বিবেচিত হলেও জানুয়ারির শেষ দিকে মাঝারাী আরেকটি শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তখন তাপমাত্র ৫ ডিগ্রির কাছাকাছি নেমে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। মাঝারি এ শৈত্যপ্রবাহে এ অঞ্চলের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত যশোরে ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হলেও এ বৃষ্টি এ অঞ্চলের কৃষির ওপর কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি বলে যশোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক সুশান্ত কুমার তরফদার বলেন, বৃষ্টি দীর্ঘস্থায়ী বা ভারি না হওয়ায় এ অঞ্চলের বোরোর বীজতলা বা সবজির কোনো ক্ষতি হয়নি। বরং এ বৃষ্টি আশির্বাদ হিসেবে দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা মনে করেছিলাম পেঁয়াজ ও আলু ক্ষেতের কিছু ক্ষতি হতে পারে। তবে মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে কোথাও ক্ষেতে পানি জমেনি। তাছাড়া শনিবার দুপুরে রোদ উঠার কারণে আরও ভালো হয়েছে।