খালেদা জিয়াকে হত্যার চেষ্টা চলছে : টুকু

0

লোকসমাজ ডেস্ক ॥ খালেদা জিয়াকে গণতন্ত্রের মা দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, হিটলার যেমন তার দেশের গণতান্ত্রিক মানুষদের কনস্ট্রেশন ক্যাম্পে নিয়ে হত্যা করেছে। তেমনি আজকে খালেদা জিয়াকে পিজি হাসপাতালকে কনস্ট্রেশন ক্যাম্প বানিয়ে তাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। শনিবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এলডিপির (একাংশের) জাতীয় কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইকবাল হাসান টুকু বলেন, গত দশ বছর বিএনপির ওপর যে নির্যাতন হয়েছে তা ওই হিটলারের সাথে তুলনা করা যায়। ইহুদীদের হিটলার যে নির্যাতন করেছিল। তার চেয়েও এখন আমাদের খারাপ অবস্থা। আমরা এখন জামিনে আছি, হয়তো এখনো ধরে নিয়ে যেতে পারে। সেই অবস্থায় বিএনপি যে এখনো দল হিসেবে টিকে। বিএনপি সুযোগ পেলে যে মৌমাছির মতো বেড়িয়ে পড়ে এটাই হলো বিএনপির বেঁচে থাকার সবচেয়ে বড় প্রমাণ। তিনি বলেন, আমাকে প্রায়ই সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেন ২০১৯ সাল চলে গেল, আপনারা ঘুরে দাড়াতে পারলেন না। আমি সাংবাদিক ভাইদের বলতে চাই আপনারাওতো ঘুরে দাড়াতে পারেননি। আপনারা কেন লিখতে পারেন না? সেটা আগে বলেন। আপনারা টিভিতে কেন প্রচার করতে পারেন না। সেটা আগে বলেন।
আপনারা বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয় হয়েছে। আমার কাছে মনে হয় যে, কত ভয়ে আপনারা থাকেন যে, সত্যটাকে সত্য বলতে পারেন না। ২৯ ডিসেম্বর রাতে কিভাবে সারাদেশে কারফিউ দিয়ে ভোট কেটে নিল সেকথাটা বলার কোনো সাহস কোনো টেলিভিশন কেন্দ্রের নাই। ওবায়দুল কাদেরে বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ৬০ এর দশকে আমরা একসঙ্গে আন্দোলন করেছি। ওবায়দুল কাদের কি ছিল তা আমরা জানি। তিনি সারাক্ষণ বলেন, বিএনপি নাই বিএনপি নাই, বিএনপি ১০ পার্সেন্ট। তো বিএনপি যদি নাই থাকে তাহলে বিএনপির জন্য যে এনার্জি ক্ষয় করে ওই এনার্জিটা ওই যে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, এলাকায় গিয়ে গাড়ির গ্লাস খুলতে পারে না। সেইখানে গিয়ে কাজে লাগায় না কেন? খামাখা এই বিএনপির পেছনে সময় নষ্ট করে লাভ কি। খালেদা জিয়াকে ভয় পেয়ে তাকে লাশ ছাড়া বের করতে চায় না উল্লেখ করে টুকু বলেন, ক্ষমতায় থাকলে অনেক ভাল লাগে। কিন্তু ক্ষমতা যখন চলে যায় তখন পালাবার রাস্তা থাকে না। দশ লাখ রোহিঙ্গা আসায় জান বের হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আবার যদি ভারত থেকে ২ কোটি আসে তাহলে কোথায় জায়গা দেবেন। ওনারা বলছেন এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলে দিলেন, আসুক আমরা নিয়ে নেব। অলরেডি আসা শুরু করেছে। যশোরের বর্ডার দিয়ে ৪ হাজার পুস ইন করেছে। আসামে ১৪ লাখ বাদ দিয়েছে। এরা কোথায় যাবে। বাংলাদেশে আসবে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এই হলের মধ্যে বসে থাকলে হবে না। খালেদা জিয়াকে মুক্তি করতে হলে, তারেক রহমানকে ফেরত আনতে হলে প্রথমে গণতন্ত্র প্রয়োজন। একমাত্র বুকের তাজা রক্ত ঢালতে পারলেই গণতন্ত্র আসবে, না হলে আসবে না। এলডিপির সভাপতি আব্দুল করিম আব্বাসীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সেলিমের সঞ্চালনায় জাতীয় কাউন্সিলে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাগপার একাংশের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, এনডিপির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, এলডিপি নেতা আব্দুল গনি, এম এ বাশার, ইব্রাহিম রওনক, কাজী মতিউর রহমান মিলন প্রমুখ।