তালার পরীক্ষার আগেই মাদরাসায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগের অভিযোগ

0

তালা (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা ॥ সাতক্ষীরার তালার দক্ষিণ শাহাজাতপুর ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার পরিচ্ছন্নতা কর্মী (এমএলএসএস) পদে পরীক্ষার আগেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, এমএলএসএস’র শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিলে মোট ১০ জন প্রার্থী আবেদন করেন। কাল ৪ জানুয়ারি যশোরের শার্শা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে ওই নিয়োগ পরীক্ষার জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। এ জন্য আবেদনকারীদেরকে গত ১ জানুয়ারি প্রবেশপত্র প্রেরণ করা হয়েছে। যার স্মারক নম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শাখা-২৪ (মাদ্রাসা-২)শিম/শাখা বিবিধ০৮২০০৮।
আবেদনকারী ৭ জনের মধ্য থেকে মাদ্রাসার সুপার তোফাজ্জেল হোসেন আবেদনকারীদের মধ্যে দক্ষিণ শাহাজাতপুরের মো. আজিম মোড়লের ছেলে সাইফুল্লাহ মোড়লের নিয়োগ দিতে ৮ লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ইতিমধ্যে সাইফুল্লাহ মোড়লের কাছ থেকে আগাম ৫ লাখ টাকা গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে। আবেদনকারীদের পাশাপাশি এলাকাবাসী জানান, পরীক্ষার আগেই চুক্তিভিত্তিক আগাম নিয়োগের বিষয়টি জায়েজ করতে নিজ উপজেলাকে বাদ দিয়ে জেলা পরিবর্তন করে যশোরের শার্শা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়কে ভেন্যু নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক আবেদনকারী জানান, মাদ্রাসার সুপার তার বিশ্বস্ত সহযোগীকে দিয়ে তার কাছে ৮ লাখ টাকা দাবি করেন। তবে তিনি তাতে রাজি না হওয়ায় মূলত সাইফুল্লাহ মোড়লের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এ বিষয়ে তালা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আতিয়ার রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিজ উপজেলা কিংবা জেলা অভ্যন্তরে অনেক ভাল ভেন্যু থাকতেও জেলা পরিবর্তন করে যশোরের শার্শায় ভেন্যু নির্ধারণ করায় দূরত্বের কারণে তিনি ওই বোর্ডে উপস্থিত থাকবেন না। তাছাড়া অপর এক অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, তার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাদ্রাসার অভিযুক্ত সুপার তোফাজ্জেল হোসাইনের কাছে জানতে তার ব্যবহৃত মোবাইলে রিং দিলে তিনি ফোনটি কেটে বন্ধ করে রাখেন। পরে তার সাথে যোগাযোগ করতে মাদ্রাসার অফিস সহকারী সাজ্জাত হোসেনের ফোনে রিং দিয়ে সুপারকে চাওয়া হলে তিনি বলেন, সুপার সাহেব এখন বাইরে ব্যস্ত রয়েছেন, পরে আপনাদের বিষয়টি জানানো হবে। এ ব্যাপারে দক্ষিণ শাহাজাতপুর ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি শেখ আমিনুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি পরীক্ষার বিষয়টি জানলেও কারো কাছ থেকে কোন প্রকার টাকা-পয়সা লেনদেনের বিষয়টি জানেন না বলে সাংবাদিকদের জানান।