জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আজ

0

আকরামুজ্জামান ॥ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আজ। ১৯৭৯ সালের এই দিনে স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছাত্রদল প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের পক্ষ থেকে আজ সারাদেশে নানা কর্মসুচি গ্রহন করা হয়েছে। ছাত্রদলের ইতিহাস গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যে মন্ডিত। ১৯৭৯ সাল থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত দেশ ও জনগনের স্বার্থরক্ষার্থে প্রত্যেকটি আন্দোলনে এসংগঠন অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। শহীদ জিয়ার নিজ হাতে গড়া এই ছাত্র সংগঠনটি তার সূচনালগ্ন থেকে বিভিন্ন জাতীয় পর্যায়ে ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে সুনাম অর্জন করেছে এবং রাজনৈতিক দূরদর্শিতার প্রমাণ দিয়েছে।
মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়ার আদর্শে চলা জনপ্রিয় এই ছাত্রসংগঠনটির সাথে দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা ল-কোটি ছাত্র-ছাত্রী জড়িত, যারা বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ জিয়ার আদর্শ বুকে লালন করে।
স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতিতে ছাত্রদলের জন্ম ছিল একটি অবশ্যম্ভাবী ঘটনা। দেশপ্রেমিক ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রসমাজের দীর্ঘ দিনের গভীর প্রত্যাশাকে ধারণ করেই ছাত্রদলের উদ্ভব ও বিকাশ। ছাত্রদল প্রতিষ্ঠা করা হয় এমন এক সময় যখন ছাত্রসমাজের মধ্যে বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় ইস্যু, বিদেশি মতবাদ ইত্যাদি নিয়ে ঘাত-প্রতিঘাত ও বিশৃঙ্খলা লেগেই ছিল। বিশেষ করে ছাত্রলীগের তান্ডবে দেশের ছাত্র সমাজের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৯ সালের ১ জানুয়ারী প্রতিষ্ঠা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রথমে সাবেক মন্ত্রী আ স ম মুস্তাফিজুর রহমানকে ছাত্রদলের দায়িত্ব দিলেন সাথে সহযোগী হিসাবে দিলেন এস এ বারী। ২৬ নভেম্বর ১৯৭৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভু তত্ত্বের তরুণ শিক ডঃ খন্দকার মোশারফ হোসেনকে বিএনপি ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মনোনীত করেন। এরপর থেকে সারাদেশে সংগঠনটি অতি জনপ্রিয় দল হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে বলা হয়, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির ভিত্তি হবে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ এবং ল্য হবে উৎপাদনমূখী শিা ব্যবস্থা। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে সমগ্র ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে শহীদ জিয়ার ১৯ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সুখী ও সসমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তোলার রাজনৈতিক বক্তব্য তৎকালীন ছাত্রসমাজের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিল। হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী ছাত্রদলের পতাকা তলে সমবেত হতে থাকে। বছর যেতে না যেতেই দেশের বিভিন্ন শিা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদল শক্তিশালী ছাত্রসংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতিতে এতদিনের বিরাজিত শূন্যতা পূরণের সম্ভাবনা দেখা দেয়। আজ সে সম্ভাবনা বাস্তবে পরিণত হয়েছে। যে উদ্দেশ্য সামনে রেখে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছাত্রদল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, আজ সে ল্যপূরণে ছাত্রদল পুরোপুরি সফল হয়েছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশের ন্যায় যশোরেও নানা কর্মসূচি গ্রহন করেছে যশোর জেলা ছাত্রদল।