হ্যান্ডকাপ ফেনসিডিল ও মোটরসাইকেলসহ যশোরে আটক পুলিশ কর্মকর্তার গাড়িচালক

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর কোতয়ালি থানা পুলিশের সাবেক সিভিল টিমের প্রভাবশালী এসআই হাসানুর রহমানের গাড়িচালক ছিলেন ইয়াছিন আরাফাত নামে এক যুবক। সোর্সের কাজও করতেন তিনি। কিন্তু এখন তিনি নিজেই পুলিশ পরিচয়ে হ্যান্ডকাপ নিয়ে মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। ডিবি পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর তার এ সকল জারিজুরি ফাঁস হয়ে গেছে। গত শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার আব্দুলপুর বাজার থেকে হ্যান্ডকাপ, পুলিশ লেখা ব্যাগ, মোটরসাইকেল ও অর্ধশত বোতল ফেনসিডিলসহ তাকে আটক করে ডিবি পুলিশ। আটক ইয়াছিন আরাফাত সদর উপজেলার িিতবদিয়া গ্রামের জয়নাল মন্ডলের ছেলে।
ডিবি পুলিশের এসআই সোলায়মান আক্কাস জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে তিনি ফোর্স নিয়ে যশোর-চৌগাছা রোডের আব্দুলপুর বাজারে অভিযান চালান। এ সময় সেখান থেকে ইয়াছিন আরাফাত নামে ওই যুবককে আটক করেন। তিনি জানান, ইয়াছিন আরাফাত নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়ায় অবস্থা বেগতিক বুঝে তিনি পুলিশ নন বলে স্বীকার করেন। ডিবি পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, ইয়াছিন আরাফাতের কাছ থেকে একটি হ্যান্ডকাপ, পুলিশ লেখা একটি ব্যাগ (পিঠে ঝোলানো ব্যাগ), সামনে পুলিশ লেখা একটি অ্যাপাচি মোটরসাইকেল (কুষ্টিয়া-ল-১১-৬৫৪২) এবং ৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি এবং পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন এসআই সোলায়মান আক্কাস। এদিকে আটক ইয়াছিন আরাফাত জানান, তিনি কোতয়ালি থানা পুলিশের তৎকালীন সিভিল টিমের এসআই হাসানুর রহমানের গাড়ি চালাতেন। ৬ মাস তার গাড়ি চালিয়েছেন। তবে সিভিল টিম বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তিনি ওই পুলিশ কর্মকর্তার গাড়ি চালানোর কাজ ছেড়ে দেন। অপরদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই আব্দুল মালেক জানান, রোববার ইয়াছিন আরাফাতকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। একই সাথে আদালতে তার পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।