সুড়ঙ্গ পথে সংসদে যাবেন মোদি
লোকসমাজ ডেস্ক॥ নয়াদিল্লির রাজপথে মাটির নিচে তৈরি হচ্ছে তিনটি সুড়ঙ্গ। এর মধ্যে একটি প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির সঙ্গে জুড়বে সংসদ ভবনকে। বাকি দুটি পৌঁছাবে উপরাষ্ট্রপতির নতুন বাড়ি ও সংসদ সদস্যদের নতুন চেম্বারে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, দেশটির রাজনৈতিক মহলের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় যাতে কোনো ঝুঁকি না থাকে, তার জন্যই এই ব্যবস্থা। তবে পদাধিকারে গুরুত্বপূর্ণ হলেও কোনো সুড়ঙ্গ পথ যাচ্ছে না রাইসিনা হিলসের রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত। কারণ তার নিয়মিত সংসদ ভবনে আসার দরকার হয় না। সুড়ঙ্গ পথগুলো হবে এক লেন বিশিষ্ট। গলফ খেলার মাঠে যাতায়াতের জন্য যে ধরনের গাড়ি ব্যবহার হয়, তেমনই গাড়িতে ওই পথ ধরে পৌঁছে যাওয়া যাবে সংসদ ভবনে। বলা হচ্ছে, ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তার বিষয়টিই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে নতুন পরিকল্পনায়। কারণ তাদের কোথাও যাওয়া আসা মানেই আঁটসাঁট নিরাপত্তা। সুড়ঙ্গপথে যাতায়াত তাদের নিরাপত্তাকে আরও সহজ করবে। রাইসিনা হিলসের সঙ্গে ইন্ডিয়া গেটকে জুড়েছে দিল্লির রাজপথ। অবস্থানের কারণেই ভারতের ‘পাওয়ার করিডর’ বলা হয় এ সড়ককে। নতুন সংসদ ভবন সম্পর্কিত সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পে এই চত্বরটিকেই ঢেলে সাজছে কেন্দ্র। নতুন প্রকল্পে রাজপথের এক পাশে পুরোনো সংসদ ভবনের লাগোয়াই তৈরি করা হচ্ছে নতুন সংসদ ভবন। ১২০০ সংসদ সদস্যের বসার জায়গা থাকবে নতুন ভবনে। এ ছাড়া সাউথ ব্লকে প্রধানমন্ত্রীর জন্য তৈরি হবে নতুন বাসভবন, নর্থ ব্লকে উপরাষ্ট্রপতির বাড়ি। রাজপথ বরাবর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভবন ও সংসদ সদস্যদের জন্য চেম্বারও তৈরি করা হবে। প্রধানমন্ত্রী, উপরাষ্ট্রপতির এই নতুন বাড়িকেই সুড়ঙ্গ পথে জোড়া হবে সংসদ ভবনের সঙ্গে। গত ডিসেম্বরে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের শিলান্যাস করেন মোদি। ১৫ জানুয়ারি শুরু হয় নতুন সংসদ ভবন তৈরির কাজ। পরিকল্পনা রয়েছে আগামী ২০২২ সালের জুলাইয়ের মধ্যেই কাজ শেষ করার। সে েেত্র ভারতের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের আগে ব্যবহার শুরু হবে নতুন সংসদ ভবনের।
মিয়ানমারে আন্দোলনকারীদের হত্যার প্রতিবাদে কূটনীতিকদের বিদ্রোহ
লোকসমাজ ডেস্ক॥ মিয়ানমারে গণতন্ত্রকামীদের নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে দেশটির সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করছেন দেশটির কূটনীতিকরা। শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, এমন পরিস্থিতিতে ঠিক বোঝা যাচ্ছে না ওয়াশিংটনে মিয়ানমার দূতাবাস দেশটির সামরিক সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছে কিনা। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূত প্রকাশ্যে বিশ্ববাসীকে সামরিক সরকারবিরোধী অবস্থান নেওয়ার আহ্বানের পর এবার ওয়াশিংটনে দেশটির দূতাবাস বেসামরিক লোকদের হত্যার প্রতিবাদে সামরিক সরকারকে ‘সর্বোচ্চ সংযম’ দেখানোর আহ্বান জানায়। মিয়ানমারে গত বুধবার সেনাবিরোধী গণবিােভে পুলিশের গুলিতে অন্তত ৩৮ জন নিহত হওয়ায় ওয়াশিংটনে দেশটির দূতাবাস এমন বার্তা দিলো। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনে মিয়ানমার দূতাবাসের এক কূটনীতিক পদত্যাগ করেছেন। সেখানকার অন্তত তিন কূটনীতিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে বলেছেন, তারা সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন। মিয়ানমারের মানবাধিকার-বিষয়ক জাতিসংঘের তদন্তকারী টমাস অ্যান্ড্রুস নিরাপত্তা পরিষদকে দণিপূর্ব এশিয়ার দেশটির ওপর আন্তর্জাতিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ও সামরিক সরকারের ওপর অর্থনৈতিক আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন। শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এক প্রতিবেদনে টমাস অ্যান্ড্রুস বলেছেন, বর্তমানে সেনা-নিয়ন্ত্রিত মিয়ানমার ওয়েল অ্যান্ড গ্যাস এন্টারপ্রাইজ’র ওপরও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবরোধ আরোপ করা উচিত। এই সংস্থাটিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর আয়ের বৃহৎ উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এদিকে, সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের কয়েকদিন আগে দেশটির সেনাবাহিনী নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে প্রায় ১০০ কোটি ডলার সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা তাৎণাৎ তা জব্দ করে নেয়। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ মিয়ানমারের প্রতিরা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও দেশটির সেনা-নিয়ন্ত্রিত ব্যবসাগুলোর লেনদেনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। অন্যদিকে, মিয়ানমারের সেনাদের আর্থিকভাবে লাভবান করতে পারে এমন উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর অর্থায়ন স্থগিত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বিগত বছরগুলোতে দেশটির নানা উন্নয়ন প্রকল্পে ইইউয়ের ২৪১ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ ছিল।
সীমান্তে নেপাল পুলিশের গুলিতে ভারতীয় নিহত
লোকসমাজ ডেস্ক॥ ভারতের উত্তরপ্রদেশের পিলভিট সীমান্তে নেপালের পুলিশের গুলিতে এক ভারতীয় যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের পিলভিট জেলার সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে বলে জানায় এই সময়। এক বিবৃতিতে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের প থেকে জানানো হয়, নেপাল পুলিশের সঙ্গে বচসার জেরে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। নিহত যুবকের নাম গোবিন্দ। বৃহস্পতিবার ২৬ বছর বয়সী ওই যুবক আরও দুই যুবকের সঙ্গে নেপাল গিয়েছিলেন। কিন্তু কী কারণে নেপালে পুলিশের সঙ্গে তাদের বচসা বাধে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। অন্য দুই যুবক পাপ্পু সিং ও গুরমিত সিং বলে জানা গেছে। পিলভিটের পুলিশ প্রধান জয় প্রকাশ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এসএসবির মাধ্যমে খবর পাই যে তিন ভারতীয় নাগরিক নেপাল গেছেন এবং সেখানে কিছু ইস্যুতে পুলিশের সঙ্গে তাদের বচসা বাঁধে। নেপাল পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের।’ বিবৃতিতে বলা হয়, এক যুবক কোনো রকমে পালিয়ে এসেছেন। তবে অপরজনের হদিশ মেলেনি এখনো। জয় প্রকাশ বলেন, ‘যে যুবক ভারতে ফিরেছেন, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে সীমান্তে কোনো আইনশৃঙ্খলার ইস্যু নেই।’ উল্লেখ্য, গত বছরও নেপাল পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল এক ভারতীয়র। ভারত-নেপাল সীমান্ত লাগোয়া সীতামঢ়ি জেলার মাহোবা প্রামে এক কৃষককে ল্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনায় জখমও হয়েছিলেন কয়েকজন।