সবার জন্য রাজনৈতিক অঙ্গন একদম মুক্ত করে দিয়েছি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

0

 

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি বলেছেন, ‘আমরা সবার জন্য রাজনৈতিক অঙ্গন একদম মুক্ত করে দিয়েছি। যে যেমন পারছেন তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। আমরা কিছু বাধা দিচ্ছি না। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আবার নতুন প্রাইম মিনিস্টার (প্রধানমন্ত্রী), নতুন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবে। ইলেকশন কমিশন সেই ব্যবস্থাটা করবেন এইটেই আমরা মনে করি’।
শনিবার দুপুরে যশোরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনও বিশ্বাস করে না যে, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসবে। আওয়ামী লীগ কখনও-ই বিশ্বাস করে না যে, পেশীশক্তির মাধ্যমে, বন্দুকের নলের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবসময় চিন্তা করে জনগণই তার শক্তি’।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের সব থানা ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়কে সর্বাধিক সুবিধা সম্বলিত ভবনে রূপান্তরিত করা হবে। ইতিমধ্যে ১০১টি থানার ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে এবং আরও ৫০টি থানার ভবন নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ছাড়া যশোরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়সহ ৯টি কার্যালয় নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে আজ দ্রুতগতিতে উন্নয়ন এগিয়ে চলেছে। আগামী ১০ বছর পর দারিদ্রতা বলে কিছু থাকবে না। ১০ বছর পরের প্রজন্মকে দারিদ্রতার কথা বললে তারা বিশ্বাস করবে না। দরিদ্রতা দেখাতে তাদের জাদুঘরে নিয়ে যেতে হবে। কেউ বাইরে থেকে এসে ছবক দেবে তা হবে না, আমরা নিজেরা চলতে পারি।
তিনি বলেন, এসডিজি অর্জন করতে হলে সাসটেইনেবল পিচ (শান্তি) দরকার। আর সে জন্য সাসটেইনেবল নিরাপত্তা দরকার।
তিনি বলেন, আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি স্বনির্ভর, উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ উপহার দিতে চাই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে বাংলাদেশের সকল উন্নয়ন অগ্রগতি ও সন্ত্রাস দমনে পুলিশের বিশেষ অবদান রয়েছে। পুলিশ এখন জনগনের সেবকের দায়িত্ব পালন করছে। সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গীবাদ দমনে এই পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নিজের জীবন বাজি রেখে লড়াই করে চলেছে। এজন্য তৃণমূল পর্যায়ে পুলিশের সেবা পৌঁছে দিতে থানাগুলোকে যুগোপযোগী করে তোলা হচ্ছে। যাতে মানুষ সহজেই সেবা পেতে পারে।
যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান ও খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মঈনুল হক।
উপস্থিত ছিলেন যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) ডা. মো. নাসির উদ্দিন, যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল নুরুল আনোয়ার, যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম মিলন।
পুলিশ সুপার কার্যালয়ের উদ্বোধন ও সুধী সমাবেশে বক্তব্য শেষ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ই-গেট উদ্বোধন ও চেকপোস্টের নোম্যান্স ল্যান্ডে ভারত-বাংলাদেশের বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে অনুষ্ঠিত মনোজ্ঞ রিট্রেট সিরিমনি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।